Operation Sindoor: সামরিক দিক ছাড়াও অপারেশন সিঁদুরের রয়েছে ৩ অসামরিক সাফল্য, জানুন বিস্তারিত

https://Operation Sindoor 3 major non defence achievement of Modi Government

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে পহেলগাঁওয়ে। বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের হত্যা করা হয়। এর পরেই অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রয়োগ করে ভারত সরকার। ৭ মে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে বিশ্বের সামরিক মানচিত্রে ভারত যেমন এক নতুন স্থান দখল করেছে একইভাবে অসামরিক ক্ষেত্রেও অত্যন্ত তাৎপর্য রয়েছে এই অভিযানের।

ঐক্যবদ্ধ ভারত দেখা গিয়েছে মোদি জমানায় (Operation Sindoor)

পহেলগাঁও হামলা এবং তার পরবর্তী অপারেশন সিঁদুর, এই আবহে সারাদেশে এক অভূতপূর্ব ঐক্য এবং সংহতি তৈরি করতে পেরেছে মোদি সরকার। শুধুমাত্র দেশের ভৌগলিক সীমানাতেই নয়, দেশের বাইরেও প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে ঐক্য দেখা দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গোটা ভারত এক এই বার্তা পৌঁছানো গিয়েছে। জনগণ রাস্তায় নেমেছেন। তাঁরা তেরঙ্গা পতাকা হাতে পদযাত্রা করেছেন। পাকিস্তান ও ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁরা সোচ্চার হয়েছেন।

চুপ থাকত কংগ্রেস সরকার, আঘাত হানল মোদি সরকার (Modi Government)

২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলার পরে কংগ্রেস সরকার যখন চুপ ছিল, তখন ঠিক তার বিপরীতে হাঁটতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ৭ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেও চলে হামলা। এর পরবর্তীকালে পাকিস্তান পাল্টা হামলার প্রচেষ্টা করলে ভারতের উন্নত প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তা রুখে দেয়। জানা যায় যে ভারতবর্ষে ২৬টি শহরকে টার্গেট করেছিল পাকিস্তান। যার মধ্যে দিল্লিও ছিল। তারা চিন এবং তুরস্ক সহ আমেরিকার নানা যুদ্ধ সরঞ্জাম যা ব্যবহার করে। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রেই তারা ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে ভারতীয় সেনার গর্জন শোনা যায় রাওয়ালপিন্ডি এবং ইসলামাবাদ পর্যন্ত। কোনও রকমের উপায় না দেখে আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুদ্ধ বিরোধীর দাবি জানায় পাকিস্তান। সেই মতো ১০ মে তারা ফোন করে ভারতের কাছে। দুই দেশের সেনা পর্যায়ে কথাবার্তা হয়। তারপরে যুদ্ধ বিরোধী হয়। কিন্তু ভারত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে। কখনও সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়নি।

অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য

অপারেশন সিঁদুরের ৩ অসামরিক সাফল্য রয়েছে। প্রথমটি হল মোদি সরকার ক্ষমতা আসার পর বিগত ১১ বছর ধরে দেশের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতির ভাবনা জেগেছে। সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে পারে, এই আত্মবিশ্বাস ভারতবাসীর মনে জায়গা করতে পেরেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে। সমস্ত সামাজিক সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং ধর্মীয় সংগঠনগুলিকে। তারা সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করেছেন সরকারের অপারেশন সিঁদুরকে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে ভারত সরকার লড়াই চালিয়েছে সেটাকেও তাঁরা কুর্নিশ জানিয়েছেন। যেটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা এবং সত্যি কথা বলতে এই ঘটনা প্রথম মোদি জমানাতেই (Operation Sindoor) দেখা গেল।

অন্যদিকে দ্বিতীয় সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল অপারেশন সিঁদুরের আবহে বিদেশি এবং আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো, যারা সর্বদাই ভারতের নিন্দা এবং বদনাম করত, তারাই ভারতবর্ষের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়াতে ভারত যে উত্তর দিয়েছে সেটিকেও তারা স্বাগত জানিয়েছে। পাকিস্তানের মন্ত্রী, তাদের মুখপাত্র এবং কূটনীতিকরা পহেলগাঁও হামলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোন জবাবই দিতে পারেনি। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে আন্তর্জাতিক মিডিয়া যখন জিজ্ঞেস করে যে কীভাবে তাঁরা বলছেন, ভারতের যুদ্ধবিমান নষ্ট করেছেন? তখন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখেছে এমনটা। অন্যদিকে পাকিস্তানের বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলও শেহবাজ সরকারের সমালোচনা করেছে।

অন্যদিকে, তৃতীয় সব থেকে বড় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল ভারত সমগ্র বিশ্বের কাছে বার্তা পৌঁছাতে পেরেছে, এই দেশ এখন বিশ্বের শক্তিশালী দেশ হিসেবে উঠে আসছে। এই বার্তা তারা দিতে পেরেছে আমেরিকা, চিন, তুরস্ক এবং অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিকে। ভারতের প্রত্যাঘাতে এখন পাকিস্তান কাঁপছে এবং উন্নত আকাশ প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারতের কোনও ক্ষতি পাকিস্তান করতে পারেনি। এই বার্তাও পৌঁছেছে বিশ্বের দরবারে। বিগত ১১ বছর ধরে নরেন্দ্র মোদির (Modi Government) দূরদর্শি নেতৃত্বের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে এই আবহে পাকিস্তান মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের বার্তা দিতে সংসদীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের নানা দেশে ভ্রমণ করছে। তাঁরা তুলে ধরছেন, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য। কেন প্রয়োজন হল অপারেশন সিঁদুর তাও জানাচ্ছেন তাঁরা বিদেশে। একই সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঘুরে জানাচ্ছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান ঠিক কী।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share