Operation Sindoor: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র জের, নিরাপত্তার স্বার্থে বন্ধ উত্তর ভারতের বহু বিমানবন্দর, জারি সতর্কতা

Operation sindoor flights operations airport shut

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাক ভূমে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের থেকে কোনও প্ররোচনামূলক বা প্রতিহিংসাস্বরূপ হামলার সম্ভাবনা থাকায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বুধবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে উত্তর ভারতের বহু বিমান চলাচল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি বিমানবন্দরও (Airport Shut)। ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক বিমানও। যাত্রীদের সুবিধার্থে বিবৃতি জারি করেছে এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর মতো ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১৮টি বিমানবন্দর।

ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত (Operation Sindoor)

প্রধান কয়েকটি বিমানবন্দর যার মধ্যে ধর্মশালা, লেহ, জম্মু, শ্রীনগর এবং অমৃতসর রয়েছে, এই বিমানবন্দরগুলিতে ফ্লাইট অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সারাদিনের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছে পাঠানকোট, জয়শলমীর, সিমলা, পাঠানকোট এবং জামনগর বিমানবন্দর। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে কিনা, বুধবার দুপুর পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এদিন সব মিলিয়ে বাতিল হয়েছে ২০০-র বেশি বিমান।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই বিমানবন্দরগুলির মাধ্যমে সমস্ত ডিপার্চার এবং অ্যারাইভাল ও কানেক্টিং ফ্লাইট প্রভাবিত হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। যাত্রীদের তাঁদের ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানতে এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে যাত্রা পরিকল্পনা করার অনুরোধ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির ওপর ভিত্তি করে আরও নতুন নতুন তথ্য দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। শ্রীনগর বিমানবন্দর বুধবার বন্ধ থাকায় সেখান থেকে কোনও বেসামরিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে না।

কী বলছে এয়ার ইন্ডিয়া 

এক্স হ্যান্ডেলে এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে বলা হয়েছে, “সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জম্মু, শ্রীনগর, লেহ, জোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় এবং রাজকোট থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে যেসব বিমানের নামার কথা ছিল, সেগুলিও (Operation Sindoor) আপাতত বাতিল করা হয়েছে। অমৃতসরগামী দু’টি আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণ করানো হবে দিল্লিতে। যাত্রীদের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত।” সূত্রের খবর, বিমানবন্দরের কর্তারা জানিয়েছেন, এটি জাতীয় জরুরি পরিস্থিতি, যাত্রী সুরক্ষাই সর্বাগ্রে। ডিজিসিএ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

স্পাইসজেট-ইন্ডিগোর পোস্ট

স্পাইসজেট জানিয়েছে, ‘সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে ধর্মশালা, লেহ, শ্রীনগর, অমৃতসর-সহ উত্তর ভারতের একাধিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বিমানবন্দরগুলিতে বিমানের ওঠানামা প্রভাবিত হতে পারে। এই পরিস্থিতি মাথায় রেখে সকলকে যাত্রার পরিকল্পনা করতে অনুরোধ করা হচ্ছে।’ ইন্ডিগোর পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে শ্রীনগর, জম্মু, অমৃতসর, লেহ, চণ্ডীগড়, ধর্মাশালা থেকে আমাদের সমস্ত বিমান বাতিল করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরগুলিতে আমাদের কোনও বিমান নামবেও না। বিমানবন্দরে পৌঁছনোর আগে আপনারা বিমান সংক্রান্ত তথ্য নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে জেনে নিন।’ ইন্ডিগো এও জানিয়েছে, জোধপুর এবং বিকানেরের বিমান পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে (Operation Sindoor)। ভারতের বন্ধ থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ সাময়িকভাবে পাকিস্তানের সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এয়ারলাইনটি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।

হিন্দু পর্যটককে হত্যা

দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে হত্যা করে জঙ্গিরা। এই বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার বদলা হিসেবে মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। এই অভিযানের নামই দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor)। অপারেশনের নাম দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং (Airport Shut)।

জঙ্গি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

এই অপারেশনে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে মোট ৯টি জঙ্গি ঘাঁটির ২১টি টার্গেট ধ্বংস করতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের শক্তঘাঁটি বাহাওয়ালপুরও। বাহওয়ালপুরের মর্কাজ সুভান আল্লায় নামক জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, মুরিদকে-র মর্কাজ তৈবায় লস্কর-ই-তৈবার ২০০ একর জায়গার উপর স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারত। অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানায়, ‘আমাদের পদক্ষেপ ছিল মাপা, নির্দিষ্ট এবং কোনওভাবেই উস্কানিমূলক নয়। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কোনও ব্যবস্থাকেই নিশানা করা হয়নি। লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন এবং হামলা কার্যকর করার ক্ষেত্রে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।’

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share