Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Pakistan’s Begging Shame

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ভিক্ষা চাইছে আইএমএফের কাছে, বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত পাক নাগরিকেরা! গত ১৬ মাসে সৌদি আরব ৫,০৩৩ জন পাকিস্তানি (Pakistan) ভিক্ষুককে বিতাড়িত করেছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জাতীয় পরিষদে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকেও শত শত পাকিস্তানি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয়েছে। নকভি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) থেকে মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রধান কারণ—বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়া।

পাকিস্তানিদের নিয়ে বিরক্ত পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলিই

কিন্তু কেন এ ভাবে পাক নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি? এর মূল কারণ, ভিক্ষাবৃত্তি! তেমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে। ‘পাকিস্তানি (Pakistan) তাড়াও’ নীতি গ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সবার উপরে রয়েছে সৌদি আরব। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তালিকায় এর পরে রয়েছে ইরাক (২৪৭ জন)। অন্য দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পাক নাগরিকদের ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কাছে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা নিয়ম কঠোর করেছে। সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৫৮ জন পাক নাগরিককে। রিপোর্টে উঠে এসেছে, পাকিস্তানিরা তীর্থযাত্রার নামে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করছেন। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে কেউ ফিরে আসছেন, তো কেউ সেখানেই রয়ে যাচ্ছেন পাকাপাকি ভাবে। আর তাতেই তিতিবিরক্ত সে দেশগুলির প্রশাসন। সে কারণেই খুঁজে খুঁজে পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি।

পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন

পাকিস্তানিদের (Pakistan) বিদেশে গিয়ে ‘ভিক্ষা-প্রেম’-এর বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায় ২০২৩ সালে। সে বছর প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিষয়ে সেনেটের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই উদ্বেগের কথা উঠে আসে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বাজা আসিফ বলেন, “এটা খুব লজ্জার। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এখন বিদেশে পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।” তাঁর মতে, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ পাকিস্তানে কোনও না কোনওভাবে ভিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা বছরে আনুমানিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি করছে। পাকিস্তানের যেকোনও অঞ্চলে ভিক্ষুক পাওয়া যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শেয়ার করা তথ্য থেকে দেখা যায় যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যক্তিরা এই প্রবণতার সঙ্গে জড়িত। যেমন, সিন্ধ প্রদেশ থেকে ২,৭৯৫ জন, পাক পাঞ্জাব থেকে ১,৪৩৭ জন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ১,০০২ জন, বালোচিস্তান থেকে ১২৫ জন এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ৩৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাদ নেই রাজধানী ইসলামাবাদও। এখানকার ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি

রিপোর্ট অনুসারে, বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক। অনেকে হজ, উমরা কিংবা জিয়ারতের ভিসায় বিদেশে যান, কিন্তু পরে সেখানেই ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। পাকিস্তানের এই অবস্থাকে কটাক্ষ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সম্প্রতি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এখন দেশটির নাম শুনলেই ভিক্ষার ছবি চোখে ভেসে ওঠে।”

নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশ

গত বছরও একটি রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে, পাকিস্তানের (Pakistan)  শ্রমিক এবং কর্মীদের কাজ দিতে চাইছে না পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি। পাকিস্তানি নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলা নিয়েও সতর্কতা জারি করেছিল তারা। এমনকি, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি ইসলামাবাদকে চিঠি পাঠিয়ে নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশও দিয়েছিল সে সময়। প্রবাসী পাকিস্তানিদের সচিব সেনেট কমিটিকে সে সময় জানিয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, কাতার এবং কুয়েত চাইছে না, পাকিস্তানি কর্মীরা তাদের দেশে গিয়ে কাজ করুন।

সমাজমাধ্যমে হাসির রোল

সম্প্রতি প্রকাশিত এই তথ্য পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় বিশ্বের দরবারে আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সে দেশের জনগণেরই সমালোচনার মুখে পড়েছে পাক সরকার। হাসির রোলও উঠেছে সমাজমাধ্যমে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লেখেন, “পাকিস্তানি ভিখারি—ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রের আসল বিজনেস মডেল। একজন আইএমএফ-এ ভিক্ষা করে, অন্যরা বিশ্বজুড়ে।” আরেকজন লেখেন, “পাকিস্তান অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে যে ২০২৪ সালেই ৫ হাজারের বেশি ভিখারিকে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।” আরেকজন ব্যবহারকারী লেখেন, “পাকিস্তানে মাদ্রাসা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও, ভিক্ষুক তৈরির জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক কোচিং সেন্টার নেই। তবুও দেশটি বিশ্বজুড়ে ‘ভিক্ষার জন্য’ পরিচিত।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share