মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) নয়া প্রধানমন্ত্রী হলেন সানায়ে তাকাইচি (Sanae Takachi)। মঙ্গলবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোটাভুটিতে জিতে গিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)-র এই নেত্রী। জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন বছর চৌষট্টির সানায়ে। তিনিই হতে চলেছেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী।
‘পুরুষতান্ত্রিক’ প্রধানমন্ত্রী সানায়ে (Sanae Takachi)
সানায়ে অতি কট্টরপন্থী হিসেবেই পরিচিত সে দেশে। তিনি ‘পুরুষতান্ত্রিক’ বলেও পরিচিত। সাম্প্রতিক ইতিহাসে জাপানে মহিলাদের উন্নয়নের জন্য যে সব পদক্ষেপ করা হয়েছে বা বিল আনা হয়েছে, তার বিরোধিতা করেছেন সানায়ে। তাঁকে নানা সময় বলতে শোনা গিয়েছে, মেয়েদের সকলের আগে উচিত ভালো স্ত্রী এবং মা হওয়া। সমকামী সম্পর্ক এবং বিয়ের বিরোধিতাও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ ক্ষেত্রে তাঁর দলও রয়েছে তাঁর পাশে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার জাপানি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে শুরু হয় ভোটাভুটি। জাপানের বৃহত্তম বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রধান ইয়োশিকোকো নোদা পান ১৪৯টি ভোট। আর ২৩৭টি ভোট পেয়ে জয়ী হন সানায়ে। নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে চারটি ভোট বেশি পান তিনি। উচ্চকক্ষে তিনি পান ১২৫টি ভোট। এর পরেই সানায়েকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। জয় পেয়েই উঠে দাঁড়িয়ে সকলকে অভিবাদন জানান এলডিপির এই নেত্রী (Sanae Takachi)।
অভিনন্দন জানালেন মোদি
জাপানের নয়া প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লিখেছেন, “সানায়ে তাকাইচি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার এই জয়ের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ভারত-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি খুবই আগ্রহী। দুই দেশের এই গভীর বন্ধুত্ব ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।” জানা গিয়েছে, জাপানের নয়া প্রধানমন্ত্রী এমন একটি মন্ত্রিসভা গঠনের পরিকল্পনা করছেন, যেখানে নর্ডিক দেশগুলির মতো সংখ্যায় নারী সদস্যরা থাকবে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার মন্ত্রিসভায় দু’জন মহিলা সদস্য ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন শিগেরু ইশিবা। গত দু’টি নির্বাচনে হারের মুখ দেখায় ইশিবাকে নিয়ে এলডিপির মধ্যেই জন্মাচ্ছিল অসন্তোষ। জুলাই মাসে জাপানি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান ইশিবা। এর পরেই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে ঘরে-বাইরে। তাই (Sanae Takachi), একপ্রকার বাধ্য হয়েই পদত্যাগ করেন ইশিবা (Japan)।
Leave a Reply