SSC: নেতা-নেত্রী থেকে বিধায়কের বউমা! এসএসসির দাগি তালিকায় তৃণমূলের রমরমা

SSC publishes list of Tainted candidates Relatives of Trinamool Congress leaders are also on the list

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসি দাগি প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তৃণমূল সরকার (Trinamool Congress)। তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই স্পষ্ট হয়ে যায়, তা একপ্রকার দখল করে নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কে নেই সেই তালিকায়! বিধায়কের পুত্রবধূ থেকে শুরু করে নেতা-নেত্রীদের আত্মীয়। যেমন ধরুন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের পুত্রবধূ শম্পা ঘোষ রয়েছেন তালিকার ১২৬৯ নম্বরে। একইভাবে ‘অযোগ্য’ তালিকায় (SSC) নাম আছে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কুহেলি ঘোষের। তাঁর নাম রয়েছে ৬৪৭ নম্বরে। তালিকার পাতা উল্টাতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ— রাজ্যের প্রায় প্রতিটি জেলার চিত্র একই রকম। সব জায়গাতেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছে বিজেপি।

বিজেপির আক্রমণ (SSC)

এই ইস্যুতে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘একটা চাকরিও কোনও নির্বাচিত সরকার অবৈধভাবে দিতে পারে না। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার গোটা ভারতবর্ষের সামনে অবৈধভাবে চাকরি দিয়েছে। আজ যাঁরা দাগি বলে চিহ্নিত হলেন, তাঁদের থেকেও মহাদাগি হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।’’ শুভেন্দুর আরও দাবি, ‘‘এই দাগিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, আর ১০ শতাংশ নেতা-মন্ত্রীদের সুপারিশে পিছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছেন। কারও গয়নাগাটি, কারও জমি বিক্রি হয়েছে, আবার কারও গরু-বাছুর পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চাকরি পাওয়ার জন্য (SSC)।’’ কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা খোঁচা, ‘‘অযোগ্যরা এবার তালিকা প্রকাশ করুন, কোন কোন তৃণমূল নেতাকে কত টাকা দিয়েছেন।’’

তালিকায় তৃণমূলের রমরমা (SSC)

এসএসসি-র ‘অযোগ্য’ তালিকায় একের পর এক তৃণমূল (Trinamool Congress) ঘনিষ্ঠদের নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে। তালিকার ১৩৬০ নম্বরে আছেন শতাব্দী বিশ্বাস, যিনি নিউ বারাকপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান স্বপ্না বিশ্বাসের কন্যা। অযোগ্য তালিকায় নাম উঠেছে হুগলির খানাকুলের তৃণমূল নেতা এবং জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য বিভাস মালিক এবং তাঁর স্ত্রী সন্তোষী মালিকের। তাঁদের নাম যথাক্রমে ৩১৬ ও ১৩৩২ নম্বরে। হুগলি জেলা পরিষদের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শাহিনা সুলতানা, এবং খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সহ-সভাপতি নইমুল হক ওরফে রাঙার স্ত্রী নমিতা আদককেও ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসএসসি। বারাসাত ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইশা হক সর্দারের ছেলে মহম্মদ নাজিবুল্লা রয়েছেন তালিকার ৭৯১ নম্বরে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের ১০ নম্বর জলচক অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি অজয় মাঝি আছেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের তালিকার ৩৯ নম্বরে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী রয়েছেন তালিকার ১০৪ নম্বরে। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের কন্যা রোশনারা বেগমকেও চিহ্নিত করা হয়েছে ‘অযোগ্য’ হিসেবে। তালিকায় নাম রয়েছে কবিতা বর্মণের, যিনি ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন। মালদার মোথাবাড়ির তৃণমূল নেতা সামসুদ্দিন আহমেদের নামও রয়েছে এই তালিকায়। নাম রয়েছে হিঙ্গলগঞ্জের যোগেশগঞ্জ এলাকার তৃণমূল নেত্রী সন্ধ্যা মণ্ডলের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share