মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত (SSC Recruitment Case) ২৬ হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলায় আসল ওএমআর শিট না থাকার সমস্যার কথা তুলে ধরলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তিনি জানান, আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, সে ক্ষেত্রে আদালত কী করতে পারে?
সিবিআইয়ের বক্তব্য (Supreme Court)
পশ্চিমবঙ্গে এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে সিবিআই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে এ কথা জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী। ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় হাইকোর্টের রায়কেই সমর্থন করছে সিবিআই। তদন্তকারী এই সংস্থার আইনজীবী বলেন, “নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি হয়েছে। হাইকোর্টের রায় যথার্থ। ওই রায়ই বহাল রাখা হোক।”
কী বললেন প্রধান বিচারপতি
তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, সমস্যা হল আসল ওএমআর শিট নেই। সে ক্ষেত্রে কোন ওএমআর শিটকে আসল বলে ধরে নেওয়া হবে? তিনি বলেন, “এসএসসি না কি পঙ্কজ বনসলের সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে অনেক সন্দেহ রয়েছে! পঙ্কজ বনসলের সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ আছে। আসল তথ্য জানা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় আমরা কী করতে পারি?” চারটি বিভাগে কত নিয়োগ হয়েছিল, সে বিষয়টিও সিবিআই এবং এসএসসি কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Supreme Court)।
গত ২৭ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। সেদিন প্রধান বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে কি না। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তাও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। সেদিন মূল মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতে জানিয়েছিলেন, অনেকে চাকরির আবেদন না করেও, নিয়োগপত্র পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে যাঁরা চাকরির আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ফের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। ওই শুনানিতে তিনি পুরো প্যানেলই বাতিল করার জন্য সওয়াল (SSC Recruitment Case) করেন। তিনি বলেছিলেন, “পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে। তাই পুরো প্যানেলই বাতিল করা উচিত (Supreme Court)।”
Leave a Reply