Tamil Nadu: উৎকণ্ঠায় ১৫০টি পরিবার! হঠাতই গ্রামবাসীদের জমি ওয়াকফ সম্পত্তি ঘোষণা তামিলনাড়ুতে

tamil nadu land is waqf property villagers protest after receiving notice declaring

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) ভেল্লোর জেলার আনাইকাট্টু তালুকের কট্টুকোল্লাই গ্রামে হঠাৎ এক নোটিশ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় ১৫০টি পরিবার সম্প্রতি এমন একটি নোটিশ পেয়েছেন, যেখানে তাদের বসবাসের জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় বাসিন্দারা ভেল্লোর জেলা কালেক্টরের কার্যালয়ে গিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানান ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন। নোটিশটি সাঈদ আলি সুলতান শাহ নামে এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কট্টুকোল্লাই গ্রামের জমি একটি স্থানীয় দরগার সম্পত্তি এবং গ্রামবাসীদের হয় সেই জমি ছেড়ে চলে যেতে হবে, অথবা দরগাকে কর (ট্যাক্স) দিতে হবে।

অযৌক্তিক দাবি

গ্রামবাসীদের কথায়, তারা প্রায় চার প্রজন্ম ধরে তামিলনাড়ুর ওই গ্রামে বসবাস করছেন। তাদের অধিকাংশের কাছেই সরকারি দলিলপত্র রয়েছে। তারা কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল এবং এই জমিই তাদের একমাত্র জীবিকা। এই দাবির ফলে তারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। হিন্দু মুনানির নেতা মহেশ এই প্রতিবাদের নেতৃত্ব দেন এবং প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এই গ্রামে চার প্রজন্ম ধরে মানুষ বসবাস করছেন। তাদের কাছে সব ধরনের সরকারি দলিল আছে। অথচ এখন সার্ভে নম্বর ৩৩০/১-এর জমিকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করা হচ্ছে।” তিনি প্রশাসনের কাছে গ্রামবাসীদের নামে ‘পাট্টা’ (মালিকানা দলিল) জারি করার দাবি জানান, যাতে তাদের বসবাস এবং জীবিকা সুরক্ষিত থাকে।

এই দাবি নতুন নয়, তাই ওয়াকফ বিল

তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) তিরুচিরাপল্লি জেলার থিরুচেন্দুরাই গ্রামেও সম্প্রতি ওয়াকফ বোর্ড প্রায় ৪৮০ একর জমি এবং একটি ১৫০০ বছরের পুরনো চোল যুগের মন্দিরকে ওয়াকফ সম্পত্তি বলে দাবি করে। সেখানেও গ্রামবাসীদের জানানো হয়েছিল, তারা জমি বিক্রি করতে পারবেন না, যদি না ওয়াকফ বোর্ড থেকে ‘না-আপত্তি সনদ’ (NOC) নেন। ওয়াকফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী, ১৯৫৪ সালের সরকারি জরিপ অনুযায়ী তাদের মালিকানায় রাজ্যের ১৮টি গ্রামে প্রায় ৩৮৯ একর জমি রয়েছে। তবে এসব দাবি বহু বাসিন্দার কাছে অজানা ছিল, যতক্ষণ না তারা জমি বিক্রির উদ্যোগ নেন। এই ইস্যুটি জাতীয় স্তরেও আলোড়ন তোলে। সংখ্যালঘু বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সংসদে ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল আলোচনা চলাকালে বিষয়টি তুলে ধরেন। সংসদে ১২ ঘণ্টার বিতর্কের পরে, উক্ত বিল দুই কক্ষে পাশ হয় এবং ৫ই এপ্রিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু অনুমোদন দেওয়ার পর এটি আইনে পরিণত হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share