মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এপ্রিলের শুরুতেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। রোদের তাপে বাইরে থাকা যথেষ্ট কষ্টকর। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছেন আবহবিদরা। আর এই আবহাওয়ায় (Temperature) শিশুদের জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে, যা অভিভাবকদের একাংশের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহু শিশুর শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করেই বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শিশুকে সুস্থ রাখতে ঘরোয়া উপাদানেই ভরসা রাখছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
কেন শিশুদের মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে (Temperature)?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ বাড়ছে। কিন্তু জলীয় বাষ্প বাড়ছে না। অর্থাৎ, গরম লাগলেও সেরকম ঘাম হচ্ছে না। বরং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাইরে গরম হাওয়া দিচ্ছে। আর এই আবহাওয়া শরীরকে শুকিয়ে দিচ্ছে। শরীরে জলের ভাব কমে যাচ্ছে। আর এর ফলেই শিশুদের শরীরে নানান রোগ বাসা বাঁধছে। দেখা দিচ্ছে নানান ভাইরাস ঘটিত অসুখ। যার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। আবার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের শরীরের সোয়েট গ্ল্যান্ড অর্থাৎ, যেখান থেকে ঘাম নিঃসরণ হয়, তা প্রাপ্তবয়স্কদের মতো সক্রিয় হয় না। এর ফলে বাইরের তাপমাত্রা বাড়লে শরীর নিজের তাপমাত্রার সঙ্গে সেটা মানিয়ে নিতে পারে না। এর ফলে হঠাৎ করেই তাপমাত্রার পারদ চড়লে, শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি। কিন্তু সর্দি-কাশি বা অন্য কোনও উপসর্গ নেই। অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে। আবহাওয়ার কারণেই শিশুদের এই ভোগান্তি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
শিশুর শরীর সুস্থ রাখতে কোন ঘরোয়া উপাদানে ভরসা বিশেষজ্ঞ মহলের?
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি মাসে গরম আরও বাড়বে। তাই প্রথম থেকেই সতর্কতা জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় অতিরিক্ত পরিমাণ জল খাওয়া দরকার। সাধারণত নিয়মিত শিশুদের তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার। কিন্তু এই শুকনো আবহাওয়ায় জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অন্তত দিনে পাঁচ লিটার জল খাওয়া দরকার। তাতে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে। ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকিও কমবে। আবার শরীরের তাপমাত্রাও (Temperature) স্বাভাবিক থাকবে।
লেবুর রস নিয়মিত খাওয়ান (Temperature)
শিশুদের জলের পাশপাশি শশা, তরমুজ, লেবু জাতীয় রসালো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের ফলে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে। পাশপাশি এই ধরনের ফলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি সহজেই পূরণ হয়। আবার লেবুর রস নিয়মিত খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। প্রচণ্ড গরমে এতে যে কোনও ভাইরাস ঘটিত অসুখের বিরুদ্ধে মোকাবিলাও সহজ হয়।
ডাবের জল খাওয়া জরুরি
এই আবহাওয়ায় সুস্থ থাকতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে থাকে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই এই আবহাওয়ায় ডাবের জল অত্যন্ত উপকারী। এতে শরীরের আদ্রতা বজায় থাকে। আবার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ উপাদান শরীরের ক্লান্তি দূর করে। তাই শিশুদের (Child Health) নিয়মিত একটি ডাবের জল খাওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল অন্ত্রের জন্য ভালো
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুদের গরমে (Temperature) মৌরি এবং মিছরি মিশিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রেখে, সকালে খালি পেটে ওই ভেজানো জল খেলে শরীরে একাধিক উপকার পাওয়া যাবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, মৌরি ও মিছরি ভেজানো জল অন্ত্রের জন্য বিশেষ উপকারী। এই আবহাওয়ায় শিশুদের হজমের সমস্যা হয়। তাই জল খেলে অন্ত্র ভালো থাকে। হজমের গোলমাল কমে।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
Leave a Reply