Manipur Violence: মণিপুরে অস্ত্র লুটে সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট সিবিআইয়ের

অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে...
manipur_f
manipur_f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে আগ্নেয়াস্ত্র লুটের (Manipur Violence) ঘটনায় সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। রবিবার মণিপুর প্রশাসনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। গত বছর বিষ্ণুপুরে পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে লুট হয়েছিল ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি। অসমের গুয়াহাটিতে কামরূপ (মেট্রো) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সম্প্রতি ওই চার্জশিট জমা দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

কাদের নাম রয়েছে চার্জশিটে?

চার্জশিটে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, লইসরাম প্রেম সিং, খুমুকচাম ধীরেন ওরফে থাপকপা, মৈরাঙথেম আনন্দ সিং, এথোকপাম কাজিত ওরফে কিশোরজিৎ, লৌক্রাকপাম মাইকেল মাংগাংছা ওরফে মাইকেল, কনথৌজাম রোমোজিৎ মেইতেই ওরফে রোমোজিৎ এবং কেইশাম জনসন ওরফে জনসন। গোষ্ঠী হিংসার জেরে (Manipur Violence) গত বছর হঠাৎই অশান্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্য মণিপুর। হিংসার আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় বহু ঘরবাড়ি। খুন হন বহু মানুষ। সন্দেহের চোখে কোনও গৃহস্থ দেখতে থাকেন বহু চেনা তাঁর প্রতিবেশীটিকেও।

পুরানো সেই দিনের কথা

অশান্তির আশঙ্কায় ভিটে ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেন অনেকে। হামলা হয় পুলিশের ওপরও। গত অগাস্টের তিন তারিখে তিনশোরও বেশি অস্ত্র লুট করে জনতা। ১৯ হাজার ৮০০ রাউন্ড গুলি এবং অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম লুট হয়। বিষ্ণুপুরে ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়েনের সদর দফতরের দুটি ঘরে রাখা ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি লুঠ হয়ে যায়। বিভিন্ন ক্যালিবারের প্রায় ৯ হাজার বুলেটও খোয়া যায়। লুঠ হয়ে যায় (Manipur Violence) একে সিরিজের অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ঘটক রাইফেল, ১৯৫টি সেল্ফলোডিং রাইফেল, পাঁচটি এমপি-ফাইভ বন্দুক, ১৬.৯ এমএম পিস্তল, ২৫টি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, ২১টি কার্বাইন এবং ১২৪টি হ্যান্ড গ্রেনেডও।

আরও পড়ুুন: “৪০০ আসনে জিতবে বিজেপি”, প্রার্থী হয়েই বললেন রবি কিষান

জানা গিয়েছে, উপজাতির লোকজন গোষ্ঠী সংঘর্ষে মৃতদের গণকবর দেওয়ার আয়োজন করেছিল চূড়াচাঁদপুরে। মে মাসের তিন তারিখে গোষ্ঠী সংঘর্ষের বলি হয়েছিলেন এঁরা। সেদিনের ওই সংঘর্ষে খুন হয়েছিলেন ২১৯জন। জখম হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। তফশিলি জাতির মর্যাদার দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মেইতেইরা। তাতে আপত্তি জানায় জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজন। সংঘর্ষের সূত্রপাত সেখান থেকেই। যার জেরে অশান্ত হয়ে ওঠে চিত্রাঙ্গদার দেশ। প্রসঙ্গত, মণিপুরের জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই সম্প্রদায়ের। এঁরা মূলত বাস করেন ইম্ফল উপত্যকায়। আর পাহাড়ি এলাকায় বাস করেন নাগা এবং কুকিরা। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ এঁরাই (Manipur Violence)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

 

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles