Murshidabad: মুর্শিদাবাদে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের ওপর সল্টলেকে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ

Murshidabad Police accused to harassed the victim family murshidabad

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ অশান্তিতে জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। এবার এই খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। বিজেপির অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার সল্টলেকে এসে পুলিশ এই পরিবারকে হেনস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান রাজ্য বিজেপির নেতারা। পুলিশ এসে জানায়, ওই পরিবারকে নাকি অপহরণ করা হয়েছে। এতেই শুরু হয় বিতর্ক। নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার পুলিশকে সাফ জানায়, তাঁরা স্বেচ্ছায় এখানে এসেছেন। এদিকে, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ তুলে সল্টলেকের ওই আশ্রয়স্থল (Murshidabad) ছেড়েছেন নিহত বাবা-ছেলের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে তাঁরা পৌঁছেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবনে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার

বিজেপি সূত্রে খবর, এক সপ্তাহ আগেই জাফরাবাদে (Murshidabad) খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবার এসে উপস্থিত হন সল্টলেকে। সেখানেই তাঁরা থাকছিলেন এই কয়েকদিন। এরপর রবিবার সকালেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে একদল পুলিশ আসেন, তাঁদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশও ছিল। পুলিশের দল পৌঁছে যায় সল্টলেকের সেই আশ্রয়স্থলে। তারপর তাঁরা নিহত বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলতে চান। কিন্তু নিহতের পরিবার কোনওভাবেই তাতে রাজি হয়নি। বিজেপির অভিযোগ, এরপর পুলিশ জোর পূর্বক বাড়ির দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা, তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ও সজল ঘোষ। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য বিজেপির নেতারও। এরপরেই বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে প্রবল বচসা শুরু হয় পুলিশের।

কী বলছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ?

নিহত পিতা-পুত্রের পরিবার যে বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, ওই বাড়ির মালিক বলেন, “মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাবা-ছেলে খুন হওয়া পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু আজ পুলিশের যে আচরণ দেখলাম, তাতে তারা তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনীকেও হার মানাবে। দরজায় লাথি মেরে ভিতরে ঢুকেছে। ওদের কাছে কোনও কাগজ নেই।” বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, “যে সময় খুন হয়েছিলেন সেই সময় পুলিশ আসেনি। আর এখন ১৫০ কিমি অতিক্রম করে ঠিক চলে এল? আমরা তো দেখব কোন অভিযোগ দায়ের হয়েছে।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share