India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

india pakistan conflicts s jaishankar said pak army chief driven by extreme religious outlook

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জন্য পাক সেনাপ্রধান (India Pakistan Conflicts) আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’ই দায়ী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিই জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, উপত্যকায় পর্যটন শিল্পে ধাক্কা দিতে এবং ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিয়েছিলেন মুনির

এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত ওই হামলার লক্ষ্যই ছিল কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে পঙ্গু করে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়া। ধর্ম দেখে বেছে বেছে ২৬ জনকে তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। এটি এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির মূলভিত্তি।’’ উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েক দিন আগেই মুনির দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিভেদ ‘উস্কে’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কথাপ্রসঙ্গে এসেছিল কাশ্মীর সমস্যার বিষয়টিও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, বিশেষ করে তাদের সেনাপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসিম মুনিরের দৃষ্টিভঙ্গি চরম ধর্মীয়। পহেলগাঁওয়ে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এ হেন মতাদর্শের স্পষ্টতই যোগসূত্র রয়েছে।’’

মুনিরের মন্তব্যের পরই হামলা টিআরএফ-এর

পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই জয়শঙ্কর কথাগুলো বলেন। ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।” এই টিআরএফ-ই পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে।

 

 

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share