Mahalaya: শুধুই কি পূর্বপুরুষদের জন্য? মহালয়া অমাবস্যায় তর্পণের মাহাত্ম্য অনেক বেশি

Durga Puja 2025 mahalaya pitru tarpan significance in hindu culture

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মহালয়ার (Mahalaya) তর্পণ। পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করার দিন। শাস্ত্র মতে, এদিন পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করলে অক্ষয় স্বর্গলাভ হয়। শাস্ত্রের এই বিধান মেনে মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষের উদ্দেশে জলদান করা হয়।

কেন এই দিনে তর্পণ?

ভাদ্র পূর্ণিমার পরবর্তী প্রতিপদ থেকে অমাবস্যা তিথি পর্যন্ত এই ১৬ দিন পিতৃপক্ষ। সেই পিতৃপক্ষের সমাপ্তি ঘটে আশ্বিনী অমাবস্যায়। যার পর শুরু হয় দেবীপক্ষ। এই অমাবস্যার দিন তর্পণ (Pitru Tarpan) করাই বিধেয়। পুরাণ অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের সময় আমাদের প্রয়াত পূর্বপুরুষরা মর্তে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। এই সময় তাঁরা উত্তর পুরুষের হাতে জল-পিণ্ড আশা করেন। এই পক্ষে তাঁদের উদ্দেশে জল ও পিণ্ড দান করলে, তাঁরা শক্তি লাভ করেন। এটাই তাঁদের চলার পাথেয়। মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন হওয়ায় এর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। দেশের অনেক জায়গাতেই এই দিনটি পিতৃ অমাবস্যা, মহালয়া অমাবস্যা বা পিতৃ মোক্ষ অমাবস্যা (Pitru Tarpan) নামে পরিচিত। এদিন প্রয়াত সমস্ত পূর্বপুরুষের উদ্দেশেই শ্রাদ্ধ তর্পণ করা যায়।

পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনায় তর্পণ (Mahalaya)

অনেকেই মনে করেন, তর্পণ শুধুই পূর্বপুরুষদের জন্য। কিন্তু শাস্ত্র মতে তা নয়। পৃথিবীর সামগ্রিক সুখের কামনা মিশে থাকে তর্পণে। তাই তর্পণ মন্ত্রে বলা হয়, ‘তৃপ্যন্তু সর্বমানবা’। অর্থাৎ মানব সভ্যতাকে তৃপ্ত করার দিন মহালয়া। তৃপ্তি সাধনের জন্যই তর্পণ। সিংহভাগ বাঙালি তর্পণ করেন কেবল মহালয়ার দিন (Mahalaya)। এদিন নদ্যাদি জলাশয়ে গিয়ে পিতৃপুরুষের উদ্দেশে জলদান করেন তাঁরা। যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে, তাঁরা এদিন পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধও করেন।

পূর্বপুরুষের স্মরণে তর্পণ

আসলে তর্পণ হল স্মৃতি তর্পণ। বছরের একটি দিন (Mahalaya) শাস্ত্রজ্ঞরা উৎসর্গ করেছেন পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার জন্য। আমরা নির্দিষ্ট দিনে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করি। এঁদের থেকে আমাদের পূর্বপুরুষ আমাদের কাছে কোনও অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই দৈনন্দিন কাজের চাপে ভুলে যাওয়া পিতৃপুরুষকে স্মরণ করতেই শ্রাদ্ধের আয়োজন। মহালয়ার দিন এই শ্রাদ্ধ করতে পারলে পরিবারের মঙ্গল হয় বলে লোকবিশ্বাস।

তর্পণের (Pitru Tarpan) নিয়ম

অনেকে পিতৃপক্ষের সময় প্রতিদিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করেন। আবার অনেকে যে তিথিতে নিজের আত্মীয়স্বজনদের হারিয়েছেন, সেই তিথিতে ব্রাহ্মণ ভোজন করিয়ে শ্রাদ্ধ করান। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে (Mahalaya) কোনও পবিত্র নদীতে স্নান করে তিল-জল দিয়ে তর্পণ ও পিণ্ডদান করা উচিত। ব্রাহ্মণ ভোজনের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণদের বাড়িতে ডেকে ভোজন করাতে পারেন ও সাধ্যমতো দান করতে পারেন। পিতৃপক্ষের শেষ দিনে ব্রহ্মচর্য পালন করা হয়। এ সময় তেল লাগানো যাবে না বা পেঁয়াজ-রসুন খাওয়া যাবে না।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share