মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মায়ানমারভিত্তিক উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। ২১ ও ২২ অক্টোবর মাঝ রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও অসম রাইফেলস ইউনিটের যৌথ অভিযানে অরুণাচল প্রদেশের নামসাই (Operation Namsai) জেলার এমএস-৬ এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু (Army Drone Attack) হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে গুলির লড়াই। সেনা সূত্রে খবর, ভোরে পরিচালিত ওই তল্লাশি অভিযানে উলফা (আই)-এর সদস্য এসএস সার্জেন্ট মেজর ইওন অক্সমের দেহ, একটি রাইফেল, একটি আরপিজি রাউন্ড এবং তিনটি রুকস্যাক উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীর দলগুলিকেও পুলিশ এবং সিআরপিএফের শামিল করা হয়েছে এই অভিযানে।
আকাশপথে হামলা (Operation Namsai)
২১ অক্টোবর রাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী মায়ানমারভিত্তিক উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর একটি শিবিরে আকাশপথে হামলা চালায়। এনএসসিএন (কেওয়াই)-এর ক্যাম্পে ড্রোন ব্যবহার করে পরিচালিত ওই হামলায় শিবিরটি ধ্বংস হয় এবং বহু জঙ্গি নিহত হয়। এদের মধ্যে শীর্ষ কমান্ডাররাও ছিল। হামলাটি মূলত স্ব-ঘোষিত মেজর জেনারেল এনএসসিএন (কেওয়াই)-এর পিয়ং কোনিয়াককে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, অন্তত পাঁচজন জঙ্গি ওই প্রাণঘাতী হামলায় নিহত হয়েছে এবং শীর্ষ কমান্ডার কোনিয়াক গুরুতর জখম হয়েছেন।
জঙ্গি শিবিরে ড্রোন হামলা
শিবিরটি ভারত-মায়ানমার সীমান্তের খাংমাই বাসতিতে অবস্থিত ছিল। কোন্যাক অরুণাচল প্রদেশে ভারতীয় সেনা শিবিরে সাম্প্রতিক হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী। মায়ানমারে অবস্থিত জঙ্গি শিবিরে ড্রোন হামলা নিয়ে ভারতীয় সেনা কোনও বিবৃতি জারি (Operation Namsai) করেনি। এর আগে চলতি বছরের জুলাই মাসে ভারতীয় সেনা উলফা (আই) এবং এনএসসিএন (কেওয়াই)-এর শিবিরে অনুরূপ ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। পরে উলফা (আই) জানায়, ওই ড্রোন হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডার-সহ অন্তত ৫ জন ক্যাডার নিহত হয়।
প্রসঙ্গত, অসমে দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় আলফা (ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ অসম) নামে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর (Army Drone Attack)। এই সংগঠনটিকে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯০ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই গোষ্ঠী মূলত আদিবাসী অসমিয়াদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে (Operation Namsai)।
Leave a Reply