Sri Lanka: মোদির দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ শ্রীলঙ্কার

Ambulances gifted by India help to save 1.5 million lives Sri Lanka

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮৮টি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) হাতে। এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিতে লক্ষ-লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচে। ভারতের প্রতি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। তারা জানিয়েছে, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই অ্যাম্বুলেন্সগুলির (Ambulances) সে দেশের জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে খুবই সাহায্য করেছে। ২০১৬ সালের পর থেকে অনেকটা সময় পেরিয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কা সরকারের অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যাও বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী নলিন্দা জয়াটিস্সা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন বর্তমানে শ্রীলঙ্কার অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা হল ৩২২। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, ২০১৬ সাল থেকে ২০ লাখ ২৪ হাজার মানুষ শ্রীলঙ্কার মানুষকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা, হৃদরোগ, স্ট্রোক- এই সমস্ত কিছুতেই পরিষেবা দেওয়া গিয়েছে।

প্রাণ বেঁচেছে ১৫ লাখ মানুষের (Sri Lanka)

শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও ব্যাখ্যা করেছেন, যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা তারা দিতে পেরেছে তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণিতে আসছে। এই ক্রিটিক্যাল গোল্ডেন আওয়ার শ্রেণি আসলে কী? যদি অ্যাম্বুলেন্স সময়মতো না পৌঁছাতো তাহলে ওই রোগীদের কোনওভাবেই বাঁচানো যেত না। এই ৬৫ শতাংশ সংখ্যাটা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ। এভাবেই মোদি সরকারের সাহায্যের ফলে শ্রীলঙ্কার এত মানুষের জীবন বেঁচেছে বলে উল্লেখ করেছে দ্বীপ রাষ্ট্র।

প্রতিবেশী মায়ানমারেও সেবাকাজ চালিয়েছে ভারত

সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার এইরকম সফলতা দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে সমন্বয়কেই প্রতিফলিত করছে। সম্প্রতি মায়ানমারে ব্যাপক ভূমিকম্প হয়েছে। সেখানে ভারত অপারেশন ব্রহ্মা চালিয়েছে। সে দেশে উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছে ভারতের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরও। পাঠানো হয়েছে নানা রকমের ওষুধ সামগ্রীও। এর পাশাপাশি তাঁবু, কম্বল, স্লিপিং ব্যাগ, খাবারের প্যাকেটও পাঠানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, মায়ানমারে মোট ৪৪২ টন খাদ্য সহায়তা করা হয়েছে। ভারতের এমন সেবাকাজগুলিতেই প্রতিফলিত হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সর্বদাই ইতিবাচক সম্পর্ক চায় দিল্লি।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share