Bangladesh: মেঘনা থেকে উদ্ধার বাংলাদেশের জনপ্রিয় হিন্দু সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ, পরিবারের দাবি হত্যা

Bibhuranjan Sarkars mysterious death Can the Yunus government avoid responsibility

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুন্সিগঞ্জ জেলার কলাগাছিয়ার কাছে মেঘনা নদীতে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বিভূরঞ্জন সরকার ‘আজকের পত্রিকা’ নামক একটি সংবাদমাধ্যমে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি, তিনি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও নিয়মিত কলাম লিখতেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে তিনি একটি প্রতিবেদন bdnews24.com-এ পাঠান। ওই লেখার শেষে তিনি উল্লেখ করেন, “এটা আমার শেষ লেখা হিসেবে প্রকাশিত হতে পারে।”

‘শেষ প্রতিবেদন’ ও নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা (Bangladesh)

বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বিভূরঞ্জন সরকার নিজের মোবাইল ফোন রেখে যান এবং পরিবারকে জানান (Bangladesh), তিনি পত্রিকার অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত ফিরে না আসায়, তাঁর পরিবার সংবাদমাধ্যমের অফিসে ফোন করে। সেখান থেকে জানানো হয়, তিনি অফিসে যাননি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পাওয়ায় তার ছেলে ঋত সরকার রমনা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বিভূরঞ্জন সরকারের শেষ লেখা “খোলা চিঠি” শিরোনামে bdnews24.com-এ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি লেখেন, শেখ হাসিনা সরকারের কাছ থেকে তিনি কোনও রকম সুবিধা পাননি, অথচ তাঁকে আওয়ামী লিগপন্থী বলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তিনি তার দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের আর্থিক অনিশ্চয়তা, নিজের এবং সন্তানের অসুস্থতার কথা লেখেন। তিনি লেখেন, “আমার জীবনে কোনও সাফল্যের গল্প নেই। এমনকি একজন সাংবাদিক হিসেবেও আমি চেষ্টা করেও কোনও শক্ত ভিত্তি গড়ে তুলতে পারিনি।”

পরিবারের দাবি হত্যা করা হয়েছে

শুক্রবার বিকালে মেঘনা নদী (Meghna River) থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হলেও, বিভূরঞ্জন সরকারের পরিবার দাবি করেছে—এটি আত্মহত্যা নয়, বরং তাঁকে হত্যা করা হয়েছে (Bangladesh)। রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার মাসুদ আলম জানান, “বিভূরঞ্জন সরকারের মৃতদেহ মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কীভাবে সেখানে গেলেন, তা জানার জন্য তদন্ত চলছে।” বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের অনেকেই মনে করেন, বিভূরঞ্জন সরকার আওয়ামি লিগের সমর্থক ছিলেন। যদিও তিনি নিজে কখনও সরাসরি কোনও রাজনৈতিক দলীয় পদে যুক্ত ছিলেন না, তাঁর লেখালিখিতে প্রগতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে সর্বদা। এই প্রেক্ষাপটে বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যেভাবে নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে সেক্ষেত্রে বিভূরঞ্জন সরকারের মৃত্যুকে নিছক আত্মহত্যা বলে মনে করা কঠিন হয়ে পড়ে। আজকের বাংলাদেশে হিন্দুদের প্রতি সহিংসতা, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি, জমি দখল, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে—এই সাংবাদিকের মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাও হতে পারে।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share