মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নিবিড় সমীক্ষায় বাদ পড়েছে ৬৫ লাখ অবৈধ নাম। বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাম বাদ পড়েছে। কিষাণগঞ্জ সম্পূর্ণভাবেই মুসলিম অধ্যুষিত একটি জেলা এবং এখান থেকেই বিপুল পরিমাণে নাম বাদ গেছে। কিষাণগঞ্জ জেলার (Kishanganj) মোট ভোটারের ১১.৮% নাম বাদ পড়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই ১১.৮% ভোটারকে কিষাণগঞ্জে খুঁজে পাওয়া যায় না, অথচ তাদের নাম ছিল ভোটার তালিকায়।
বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম (Bihar)
কিষাণগঞ্জ এমন একটি জেলা, যা পশ্চিমবঙ্গের সীমানা সংলগ্ন এবং প্রায় সম্পূর্ণটাই মুসলিম অধ্যুষিত। জনবিন্যাসের ভারসাম্যহীনতা ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয়স্থল হিসেবে কিষাণগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। প্রসঙ্গত, বিহারে SIR (Special Intensive Revision) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ২৪ জুন। তখন এই জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ১২,৩১,৯১০ জন। সংশোধনের পর এখান থেকেই বাদ পড়েছে ১,৪৫,৬৬৮টি নাম, যা মোট ভোটারের (Bihar) ১১%–এরও বেশি। SIR প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকেই কিষাণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন জমা পড়তে থাকে। এই হঠাৎ আবেদনের কারণে সন্দেহ জাগে প্রশাসনের (Kishanganj)। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ‘স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট’-এর আবেদন গড়ে প্রতিমাসে ২৬ হাজার থেকে ২৮ হাজার জমা পড়েছে। আবার জুলাই মাসের প্রথম ছয় দিনের মধ্যেই এই সার্টিফিকেটের জন্য ১.২৮ লক্ষের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ ছিল হিন্দু অধ্যুষিত
বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্যান কার্ড, আধার কার্ড এবং পাসপোর্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এখন ব্যাপকভাবে যাচাই করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্বাধীনতার সময় কিষাণগঞ্জ একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা ছিল। কিন্তু পরবর্তী দশকগুলিতে এর জনবিন্যাসে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এর কারণ হিসেবে তাঁরা বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকে দায়ী করছেন। সম্প্রতি কিষাণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চারজন বাংলাদেশিকে ধরা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এখানে এসেছিল বলে জানা গিয়েছে (Bihar)।
Leave a Reply