মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম রায়ে রাজ্যে চাকরি গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষিক-শিক্ষিকার। অন্যদিকে ওয়াকফ আইনের বিরোধিতায় ছড়িয়েছে অশান্তির আঁচ। এই আবহে রবিবারই রাজ্য বিজেপির (BJP) ডাকে কলেজ স্কোয়ার থেকে মহামিছিল করা হয় (BJP Protest Rally)। পথে নেমে প্রতিবাদ করতে দেখা গেল একসঙ্গে শুভেন্দু-দিলীপ-সুকান্তকে।
বিজেপির (BJP) মিছিলে জনজোয়ার
চাকরি বাতিল ও মুর্শিদাবাদের হিংসার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এই মিছিলে এদিন জনজোয়ার লক্ষ্য করা যায়। এদিনে মিছিলে হাজির ছিলেন এই মিছিলে একই সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বর্ষীয়াণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার সহ বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব (BJP Protest Rally)। এদিনের মিছিল থেকে ওঠে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে জোরালো সওয়াল।
কী বললেন প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?
প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি (BJP) নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা কাটমানি খেয়ে শিক্ষকদের পথে বসিয়েছে। বাংলায় একদিকে চাকরি হারাদের হাহাকার অন্যদিকে মুর্শিদাবাদে গৃহহারাদের আর্তনাদ। কঠিন এক দুঃসময়ে আজ আমরা পথে নেমেছি। যোগ্যরা যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তার জন্য যাঁরা দায়ি তাঁদেরকে আমরা ছাড়ব না।’’ হুঙ্কারের সুরে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘এই সরকারের দিন ঘনিয়ে এসেছে। আমরা এই সরকারের পতন চাই।’’
রাজ্য সরকারকে তুলোধনা শুভেন্দু অধিকারীর
মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তুলোধোনা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। মিছিল শেষে নিজের ভাষণে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদে পুলিশকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে। এই সরকারের আর একদিনও ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।’’ রাজ্য বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মুর্শিদাবাদে অশান্তি ও চাকরিহারা ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা করা দরকার, গতকাল শনিবার শুভেন্দুর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদে নয়, রাজ্যের যেসব অঞ্চলে হিংসার ঘটনা ঘটছে, সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আদালত রাজ্য সরকারকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে।
Leave a Reply