মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্ধ্রপ্রদেশে (Andhra Pradesh) তিরুপতির সরকারি মাতৃসদনে এক বছর আগে স্থাপিত রোটারি হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক (Human Milk Bank) এখন অসংখ্য দুর্বল ও অপরিণত নবজাতকের জীবনরক্ষাকারী আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। শুধু নবজাতকদেরই নয়, এই দুধ দানের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন দুগ্ধ দানকারী মায়েরাও। সরকারি মাতৃসদনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. জি. পার্থ সারথি বলেন, “আমরা অতিরিক্ত মাতৃদুগ্ধ থাকা মায়েদের এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহ দিই। আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রসূতি মায়েদের দুধ দানে আগ্রহী করে তুলছেন।”
সঠিক পদ্ধতি দুধের ব্যবহার
এই ব্যাংক থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নিরাপদ ও জীবাণুমুক্ত করে নবজাতকদের খাওয়ানো হয়, বিশেষত তাদের যাদের মা কোনও কারণে দুধ পান করাতে অক্ষম। পার্থ সারথি জানান, “দানকৃত দুধকে সুরক্ষিত ও ভালো রাখা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভাব্য দানকারীদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিভিন্ন স্ক্রিনিং পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন (HBsAg) ও হেপাটাইটিস সি (HCV)। এই পরীক্ষাগুলো সাধারণত মায়েরা সন্তান জন্মদানের সময় হাসপাতালে ভর্তি হলে করা হয়।” অন্ধ্রপ্রদেশে মাতৃদুগ্ধ দানের এই উদ্যোগটি একটি জনস্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রমের অংশ। এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
এই মিল্ক ব্যাঙ্কের গুরুত্ব
এই মহতী উদ্যোগ কেবল অসহায় শিশুদের জীবনরক্ষা করছে না, পাশাপাশি মা’দের মধ্যেও মাতৃত্বের এক নতুন অনুভব তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত দুধ দান করলে মা’দের শরীরেও কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। অনেক মা দুধ দানের মাধ্যমে মানসিক আনন্দ ও পরিতৃপ্তি লাভ করেন, কারণ তাঁরা জানেন, তাঁদের দান করা দুধ অন্য কোনো নবজাতকের জীবন বাঁচাতে পারে। স্তন্যদানকারী মায়েদের মাতৃদুগ্ধ শিশুদের জন্য একটি প্রাকৃতিক এবং পুষ্টিকর খাদ্য। এই দুধের মাধ্যমে শিশুরা প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি এবং ভিটামিন পায়, যা তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
Leave a Reply