মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে হিংসার আগুনে পুড়েছে মুর্শিদাবাদের (Bengal Violence) বহু হিন্দুর ঘর। ওই হিংসায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের গাড়ি। হিংসা কবলিত এলাকায় মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এহেন আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ভারতকে বার্তা দিয়ে বলেন, “মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ অশান্তির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়কে রক্ষা করুন, যেখানে তিনজন নিহত ও শত শত জখম হয়েছেন।”
বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান (Bengal Violence)
বাংলাদেশের মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, বাংলাদেশ যেন অযৌক্তিক মন্তব্য করার পরিবর্তে তার নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করে। এও বলা হয়, “পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে বাংলাদেশি পক্ষের মন্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি খারাপ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের অপরাধীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।” তিনি বলেন, “অনর্থক মন্তব্য করা ও বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এমন অবস্থান প্রকাশ না করে বাংলাদেশের উচিত নিজেদের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় মনোযোগ দেওয়া।” তিনি বলেন, “ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে সামঞ্জস্য খোঁজার এটা একটা অসৎ ও প্রচ্ছন্ন চেষ্টা।”
হিন্দু নির্যাতন
প্রবল আন্দোলনের জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো শেখ হাসিনা। তার পর থেকে সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকে। বস্তুত, পড়শি দেশের শুরু হয় হিন্দুমেধ যজ্ঞ। যে যজ্ঞে বলি হন শয়ে শয়ে হিন্দু। ভাঙচুর করা হয় হিন্দু মন্দির, বিগ্রহ। গ্রেফতার করা হয় একের পর এক হিন্দু নেতাদের (Bengal Violence)। মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকেও।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh) ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর ২,৪০০টি অত্যাচারের ঘঠনা ঘটেছে এবং ২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২টিতে (Bengal Violence)।
Leave a Reply