Islamic Conversions: গত ২ মাসে অসংখ্য ধর্মান্তকরণ চক্র পুলিশের জালে, টার্গেট হিন্দু মেয়েরা, প্রমাণ জঙ্গি যোগের

Islamic Conversions gangs targeted vulnerable Hindu women accumulated huge wealth through foreign funding links with terrorist organisations

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিগত ২ মাসের মধ্যে ভোপাল, বলরামপুর, আগ্রা, প্রয়াগরাজ, আলিগড়, কুশীনগর—অর্থাৎ মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের বড় অংশে ধর্মান্তকরণের অনেক বড় বড় চক্রের (Islamic Conversions) পর্দা ফাঁস করা হয়েছে। এ প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একই বিষয় সামনে এসেছে যে, তারা হিন্দু মেয়েদের প্রলোভন দিত এবং এভাবেই ফাঁদে ফেলত। জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত ইসলামে ধর্ম পরিবর্তনের চক্রগুলি কেবল দুর্বল হিন্দু মহিলাদেরই লক্ষ্যবস্তু বানাত এবং এর পাশাপাশি বিদেশ থেকে আসা টাকায় এভাবেই তারা বিপুল সম্পদ অর্জন করেছে। শুধু তাই নয়, এই ধর্মান্তরণ গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্রের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

মধ্যপ্রদেশের ভোপালের চক্র

সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্রের সবচেয়ে বড় ঘটনাটি সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে ফারহান নামে এক মুসলিম ব্যক্তি কলেজপড়ুয়া হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে প্রথমে বন্ধুত্ব করত, তারপর তাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করত। এরপরে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে তাদের ধর্ষণ করে ভিডিও বানাত সে। সেই ভিডিও নিয়ে ব্ল্যাকমেল করত ফারহান। এই পদ্ধতিতে ফারহান ২০২৫ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকলাপ চালিয়ে যায়। বেশ কিছু হিন্দু মহিলা ফারহানের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ভোপালের বাঘসেওনিয়া থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং ওই মহিলারা (Hindu Women) জানান যে, তাদের অশ্লীল ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ সাহিল খান, আলি খানসহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে এবং ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্র ফাঁস করার জন্য একটি তদন্তকারী দলও গঠন করা হয়েছে (Islamic Conversions)।

ছাঙ্গুর বাবার কীর্তি

এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের বলরামপুর জেলাতেও একটি ব্যাপক ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্রের পর্দা ফাঁস হয়েছে। এর মূল পরিকল্পনাকারী ছিল জালালউদ্দিন ছাঙ্গুর বাবা। জানা গিয়েছে, এই জালালুদ্দিন দেড় হাজার জনেরও বেশি হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করেছিলেন। ২০২৫ সালের ৫ জুলাই লখনউয়ের একটি হোটেল থেকে উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড জালালউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, এইভাবে জালালউদ্দিন ১৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি তৈরি করেছিল এবং এক্ষেত্রে এর রেটও বেঁধে দেয়। অর্থাৎ, ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, সরদার মহিলাদের ধর্মান্তরিত (Islamic Conversions) করলে ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা, পিছিয়ে পড়া বর্ণের মহিলাদের জন্য ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা, অন্যান্য বর্ণের মহিলাদের জন্য ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা রেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন ‘মিশন অস্মিতা’র উদ্যোগে দেশব্যাপী এক বড় অভিযানে উত্তরপ্রদেশের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াড এই সিন্ডিকেটের পর্দা ফাঁস করে। ১৯ জুলাই পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

উত্তর প্রদেশে দলিত মেয়েকে কেরল নিয়ে গিয়ে ধর্মান্তকরণ

গত ২৮ জুন এক দলিত মেয়ের মা উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং তিনি নিজের অভিযোগে জানান যে, দারকাশা বানো নামে এক মহিলা তার মেয়ের ব্রেনওয়াশ করেছেন। মামলার তদন্তের সময় পুলিশ চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে এবং হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব তৈরি করা হয়েছে তার মেয়ের মধ্যে। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ এবং চাঞ্চল্যকর তথ্য পায়। জানা যায় যে, দারকাশা বানো নামের ওই মহিলা ১৫ বছর বয়সি মেয়েটিকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত (Islamic Conversions) করতেই তার মগজ ধোলাই শুরু করে। এরপরে মহম্মদ কাইফ নামে একজনের সঙ্গে মিলে ওই মেয়েটিকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে দিল্লি, তারপর কেরালা নিয়ে যাওয়া হয়। কেরালায় মেয়েটিকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয় এবং তারপরে তাকে জিহাদে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়। তবে মেয়েটি কোনওভাবে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে নিরাপদে উদ্ধার করে পাঠানো হয়। গত ১৪ জুলাই পুলিশ দ্বারকা, মহম্মদ কাইফ এবং মোহাম্মদ তাজকে গ্রেফতার করে। দেখা গিয়েছে, এই জেহাদি দলটি নাবালিকা দলিত মেয়েদের লক্ষ্যবস্তু বানাত এবং তাদেরকে এভাবে ধর্মান্তরিত করত (Hindu Women)।

আলিগড়ের ধর্মান্তকরণ চক্র (Islamic Conversions)

উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ধর্মান্তরণের সঙ্গে জড়িত আরও একটি চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এই চক্র ৯৭ জন হিন্দু মহিলাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে, যাদের সকলেই বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন। এই ৯৭ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ১৭ জন কিশোরী। এই গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ডের নাম ওমর গৌতম বলে জানতে পেরেছে পুলিশ আগেই, এবং তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ২০১৮ সালে এই চক্র ৩৩ জন হিন্দু মহিলাকে ধর্মান্তরিত করে, যার মধ্যে তিনজন ছিলেন আলিগড়ের বাসিন্দা। তদন্তে জানা গিয়েছে, এই গ্যাংটি হিন্দু মহিলাদের প্রলোভনের ফাঁদে ফেলতে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট ব্যবহার করতো এবং সেখানে হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা হতো। এই গ্যাংয়ের সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সিমি এবং লস্কর-ই-তইয়্যেবা মতো নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে বলে পুলিশ সন্দেহ করছে।

কুশিনগরের ধর্মান্তকরণ চক্র

উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর জেলায় আরও একটি ইসলামিক ধর্মান্তরণ চক্রের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ এবং এখান থেকেই  আরমান নামে এক মুসলিম ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই চক্রটি তিনজন নাবালিকা হিন্দু মেয়েকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করে এবং মুম্বইতে পাচার করে, সেখানে পতিতাবৃত্তিতে ঠেলে দেওয়া হয়।

কোড শব্দ ব্যবহার করত জেহাদিরা

অন্যদিকে, আগ্রার মামলায় ফাঁস হওয়া জেহাদি নেটওয়ার্ক প্রসঙ্গে পরে নতুন তথ্য সামনে এসেছে যে, তারা যাদেরকে ধর্মান্তরিত করত, তাদের জন্য কোড শব্দ তৈরি করেছিল। যেমন, যাদেরকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হতো, তাদেরকে তারা ‘প্রত্যাবর্তন’ বলে উল্লেখ করত। আর ধর্মান্তরণের জন্য যখন কেউ আসত, তখন তাদেরকে ‘নিরাপদ অঞ্চলে ফিরে আসা’ বলা হত। ধর্মীয় ধর্মান্তরণকে তারা ‘মিট্টি পালনতা’ বা ‘মাটি চাষ’ বলে উল্লেখ করত।

জঙ্গি যোগের প্রমাণ মিলেছে

আগ্রা, বলরামপুর, প্রয়াগরাজ এবং আলিগড়ের যে সমস্ত জেহাদি চক্রগুলির পর্দা ফাঁস হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগও মিলেছে। এরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অর্থ সাহায্য পেত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এই জেহাদি চক্রগুলি ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সংগঠনের আদলে পরিচালিত হত।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share