মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে প্রয়োগ করা হয় অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। একদিন পরেই বৃহস্পতিবার এই অভিযানের অন্যতম বড় খবর সামনে এল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জইশ-ই-মহম্মদের কমান্ডার আবদুল রউফ আজহার পাক পাঞ্জাবের বাহাওয়ালপুর জঙ্গি ঘাঁটি নিকেশের সময়ই খতম হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, রউফ আজহার হল জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ছোট ভাই। ১৯৯৯ সালে ভারতীয় বিমান (আইসি ৮১৪) ছিনতাইয়ে সে ছিল মাস্টারমাইন্ড (Abdul Rauf Azhar)। জইশের অপারেশন হেড হিসেবে ছিল তার পরিচয়।
ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকার প্রথম পাঁচে ছিল রউফ
একাধিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তার নাম উঠে আসে। কান্দাহার বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ছাড়াও আবদুল রউফ আজহার (Abdul Rauf Azhar) ২০০১ সালের সংসদে হামলায় অভিযুক্ত ছিল। এছাড়া, ২০০৩ সালের নাগরোটা সেনা শিবিরে হামলাতেও সে ছিল অন্যতম মাস্টার মাইন্ড। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার অন্যতম চক্রী ছিল সে। সেই রউফকে এবার খতম করল ভারতীয় সেনা। প্রসঙ্গত, ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকার প্রথম পাঁচে ছিল রউফ।
২৬ বছর পরে বদলা ভারতীয় সেনার (Operation Sindoor)
জানা যাচ্ছে, কয়েক দশক ধরেই ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী রউফকে খতমের জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে এবারে তা সফল হল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আবদুল রউফের মৃত্যু পাক জঙ্গিদের মনোবল একেবারে ভেঙে দেবে (Operation Sindoor)। প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দাদের হাতে ধৃত জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে মুক্তির দাবিতে আইসি ৮১৪ ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমান ছিনতাই করা হয়। মাসুদকে না ছাড়লে সব যাত্রীকে মেরে ফেলা হবে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরেই বাজপেয়ী সরকার নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে মাসুদ আজহার সহ কয়েকজন জঙ্গিকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই ছিনতাইয়ের পুরো পরিকল্পনা তৈরি করেছিল আবদুল রউফ। ঘটনার ২৬ বছর যাকে খতম (Operation Sindoor) করল ভারতীয় সেনা।
Leave a Reply