One Pot Meal: সুস্বাস্থ্যের নতুন চাবিকাঠি ‘ওয়ান পট মিল’! কী এটা? কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে?

one pot meal all in one food wholesome nutrition new trend

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

বদলে যাচ্ছে জীবন যাপনের ধরন। বাড়ছে ব্যস্ততা! আর তাই খাদ্যাভাস থেকে পোশাক বদল আসছে সবকিছুতেই! চট জলদিতেই স্বচ্ছন্দ তরুণ প্রজন্ম। সময় কম লাগবে, অথচ সবটাই হয়ে যাবে সহজে! এমন জিনিসেই সকলে মজেছেন।‌ কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজন একাধিক উপাদান। নানান রোগ এড়াতে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে প্রয়োজন নানান উপাদান। খাবার থেকেই শরীর সেই সব উপাদান সংগ্রহ করে‌। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আর তাই ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে ‘ওয়ান পট মিল’ (One Pot Meal)! রান্না করতে সময় কম লাগছে। কিন্তু পুষ্টিগুণ প্রচুর। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হচ্ছে। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ওয়ান পট মিলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পুষ্টিবিদদের একাংশ মনে করছেন, আধুনিক জীবনে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি এই ওয়ান পট মিল!

ওয়ান পট মিল কী?

পুষ্টিবিদদের মতে, ওয়ান পট মিল হলো এমন খাবার, যেখানে সব রকমের উপকরণ রয়েছে। অর্থাৎ, সুষম খাবারের কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল সবকিছু থাকবে। প্রত্যেক উপাদানের পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকলে, তবেই সেটা পুষ্টিকর খাবার হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলে (One Pot Meal) এই সবকিছুই মোটামুটি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। তাই পুষ্টির দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে এই ওয়ান পট মিল। সাধারণত, ওয়ান পট মিলে ভাত কিংবা রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সঙ্গে সব্জি, ডিম সিদ্ধ এবং ডাল, এই সবরকমের খাবারের উপকরণ থাকে।

ওয়ান পট মিল হিসাবে সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়ান পট মিলের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে খিচুড়ি! তাঁরা জানাচ্ছেন, খিচুড়ি এমন একটা খাবার যাতে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, মিনারেল এবং ভিটামিন। চাল-ডাল এবং একাধিক সব্জি দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়। খুব কম তেল ও মশলায় খিচুড়ি রান্না করা যায়। তাই প্রত্যেক উপাদানের পুষ্টিগুণ পর্যাপ্ত থাকে। শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা সহজেই পূরণ হয়।

লেমন-চিকেন রাইস অন্যতম পছন্দের

লেমন-চিকেন রাইস জাতীয় খাবারকে ওয়ান পট মিলের (One Pot Meal) তালিকায় অন্যতম খাবার বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পশ্চিমের দেশে এই খাবার যথেষ্ট জনপ্রিয়। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে ভিটামিন ও প্রোটিনের পর্যাপ্ত মিশ্রণ। চালের পাশাপাশি এই রান্নায় চিকেন, লেবু, গাজর, বিনস, বেল পেপার, মাশরুম, পার্সলের মতো একাধিক ভিটামিন সমৃদ্ধ উপকরণ এবং মাখন ব্যবহার হয়। তাই শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পাশপাশি, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাট সবকিছুর জোগান ঠিকমতো হয়। আবার অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। তাই সহজেই হজম হয়‌। শরীর এনার্জি পায়।

চিকেন স্যালাডও যথেষ্ট জনপ্রিয়

চিকেন কিংবা চিংড়ির স্যালাড জাতীয় পদ ওয়ান পট মিল (One Pot Meal) হিসাবে যথেষ্ট জনপ্রিয় হচ্ছে বলেই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, লেটুস পাতা, যব, বিট,গাজর, ধনেপাতার মতো নানান ধরনের সব্জিতে সামান্য অলিভ অয়েল মাখিয়ে নিয়ে তার সঙ্গে বেকড অথবা গ্রিল করা মাংসের টুকরো কিংবা চিংড়ি মিশিয়ে ওয়ান পট মিল অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সহজেই পাবে। আবার হজমের সমস্যা ও এড়ানো যাবে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিসের ঝুঁকিও কমবে। কারণ এই ধরনের খাবারে কোলেস্টেরলের মাত্রা ও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কেন সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)?

পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস থেকে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের মতো একাধিক সমস্যার কারণ খাদ্যাভাস। আধুনিক জীবনে অধিকাংশ রোগ জীবন যাপন সংক্রান্ত। তাই খাবারেই সুস্থ থাকার চাবিকাঠি রয়েছে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেলে নানান রোগের দাপট এড়ানো যায়। কিন্তু সময়ের অভাবে অধিকাংশ মানুষ বাজারের চটজলদি খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন। নিয়মিত অতিরিক্ত তেল ও মশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন বাড়ছে। স্থুলতা ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সুস্থ থাকার চাবিকাঠি ওয়ান পট মিল (One Pot Meal)। এই খাবার বাড়িতে সহজেই তৈরি করে নেওয়া যায়। অতিরিক্ত সময় লাগবে না। আবার এই ধরনের খাবারে অতিরিক্ত তেল মশলা ব্যবহার করা হয় না। কিন্তু প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং কার্বোহাইড্রেটের মতো প্রয়োজনীয় সব উপাদান শরীরে সহজেই পৌঁছে যাচ্ছে। তাই শরীর সুস্থ থাকবে।

DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share