PM Modi: গত ১০ বছরে জিডিপি বেড়ে দ্বিগুণ! মোদি জমানায় বিরাট সাফল্য ভারতীয় অর্থনীতির

Pm modi Indias gdp doubles

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০ বছরের মোদি (PM Modi) রাজত্বে ভারতের জিডিপি বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলেই বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় দশম স্থানে থাকা ভারত চলে এসেছে পঞ্চম স্থানে। অর্থনীতিবিদদের মতে, অচিরেই ভারত চলে আসবে ওই তালিকার তিন নম্বরে।

নরেন্দ্র মোদির সরকার (PM Modi)

২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্শিতে বসে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তারপর থেকে অর্থনীতির পারা উঠতে থাকে চড়চড়িয়ে। এই সময়কালে ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ)-এর সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার চমকপ্রদ, শতাংশের বিচারে ১০৫। আইএমএফের মতে, ভারতের বর্তমান জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫ সালে এই পরিমাণ ছিল ২.১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন নরেন্দ্র মোদির প্রথম প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদ এক বছরও হয়নি। তারপর থেকে জিডিপির হিসেবে ভারত তার অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি করে ফেলেছে (PM Modi)।

অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত

তথ্য বলছে, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির স্থান দখলের প্রাক্কালে রয়েছে ভারত। বর্তমানে জাপানের জিডিপি ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২৫ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত এই সীমা অতিক্রম করতে পারে বলে অনুমান। বর্তমান গড় প্রবৃদ্ধির হার বজায় থাকলে ২০২৭ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারত জার্মানিকেও (বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি) পিছনে ফেলে দেবে। জার্মানির বর্তমান জিডিপি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পীযুষ গোয়েলের বক্তব্য

বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ভারতের ১০ বছরের অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাকে অসাধারণ আখ্যা দিয়ে এই সময়ে দেশের জিডিপি দ্বিগুণ হওয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, গত ১০ বছরে ১০৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখে ভারত। পেছেনে ফেলে দিয়েছে চিন (৭৬ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৬৬ শতাংশ), জার্মানি (৪৪ শতাংশ), ফ্রান্স (৩৮ শতাংশ) এবং যুক্তরাজ্য (২৮ শতাংশ)-এর মতো বড় অর্থনীতির দেশগুলিকে। ভারতের অর্থনীতির আকার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় এটি জি-৭, জি-২০ ও ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন বাস্তব! প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি গত দশকে ভারতকে তাঁর জিডিপি দ্বিগুণ করার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা দেশকে শীঘ্রই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করবে (PM Modi)।”

ভারত শীর্ষে

প্রবৃদ্ধির গতির দিক থেকে ভারত শীর্ষে থাকলেও, অর্থনীতির আকারের দিক থেকে শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৩০.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং চিন (১৯.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার)। জার্মানি ৪.৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে তৃতীয়, জাপান ৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে চতুর্থ এবং ভারত ৪.৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।বর্তমান প্রবৃদ্ধির হারে ভারতকে শীর্ষ দুটি স্থানে উঠতে গেলে দু’দশকেরও বেশি সময় লাগবে। যদিও এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ৩৬.২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ২.৫২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তুলনামূলকভাবে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ ৭১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (PM Modi)।

৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল!

প্রসঙ্গত, ভারতের জিডিপি প্রথম ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের লক্ষ্যে পৌঁছাতে ৬০ বছর সময় লেগে গিয়েছিল। ২০০৭ সালে ওই হার হয়। ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছতে ৭ বছর সময় লেগেছে। ২০১৪ সালের ছবি। আর কোভিড-১৯ অতিমারি সত্ত্বেও, ভারত ২০২১ সালে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছে গিয়েছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ৪ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে সময় লেগেছে মাত্র ৪ বছর। এই গতিতে যদি অগ্রগতি এভাবেই চলতে থাকে, তাহলে ভারত প্রতি দেড় বছরে তার জিডিপিতে এক ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করার জন্য প্রস্তুত, এবং সম্ভবত ২০৩২ সালের শেষ নাগাদ ১০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে পারে (PM Modi)।

প্রবৃদ্ধির পিছনের প্রধান কারণ

দেশের এই প্রবৃদ্ধির পিছনে প্রধান যেসব কারণ লুকিয়ে রয়েছে, সেগুলি হল উচ্চতর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, প্রত্যক্ষ সুবিধা হস্তান্তর এবং অন্যান্য প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে একটি স্থিতিশীল কৃষিখাত পরিচালিত হয়েছিল, যা অনিয়মিত জলবায়ু সত্ত্বেও, গ্রামীণ অর্থনীতির গতিশীলতাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। ভারতের কর্পোরেট সেক্টরের পারফর্মেন্সও অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। তার জেরে প্রচুর কর্মসংস্থান হয়েছে। মোদি সরকার মেক ইন ইন্ডিয়া, পিএলআই, এমএসএমই ঋণ ইত্যাদি নীতির মাধ্যমে ব্যবসার জন্য একটি অত্যন্ত সুবিধাজনক পরিকাঠামো তৈরি ও তাকে বাস্তবায়িত করেছে (PM Modi)।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share