Suvendu Adhikari: সরকারেই বাঙালিরা উপেক্ষিত,  কার স্বার্থে আন্দোলন? মমতার রাজনীতি নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন শুভেন্দুর

mamata-suvendu-962995-1615977254-1617039893

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে বাঙালি অস্মিতা নিয়ে নতুন রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল। এর পিছনে অন্য উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে। বুধবার এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এতই যদি বাঙালিদের সম্মান নিয়ে চিন্তিত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাহলে কেন যোগ্য বাঙালি দক্ষ অফিসারদের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উপেক্ষা করা হচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। ভিন রাজ্যে বাঙালি হেনস্থার অভিযোগে তৃণমূল পথে নেমেছে বুধবার। ঠিক তখনই মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা হাঁটছে রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাপোর্ট করে। কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানের নাম ভোটার লিস্টে থাকতে পারে না। বিহারে যদি ৩০ লাখ বাদ চলে যায়, এখানে ৯০ লক্ষ আছে।”

প্রশাসনিক পদে বাঙালিদের অবহেলা কেন

বছর ঘুরলে বিধানসভা ভোট। ভিন রাজ্যে বাংলাভাষী শ্রমিকদের হেনস্থা, এই অভিযোগে বুধবার শহরে মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঙালি অস্মিতা নিয়ে শাসকদলকে পাল্টা নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা। তৃণমূলের পথে নামার আগেই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোশাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “বাঙালি অস্মিতার রাজনৈতিক ভাষ্য তৈরি করতে উদ্যত তৃণমূল কংগ্রেস। কাদের স্বার্থে? বাংলাভাষী রোহিঙ্গাদের স্বার্থে? নাকি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের স্বার্থে? দুর্নীতির জন্যে শিক্ষকতার চাকরি হারিয়ে রাজপথে বাংলা ভাষায় আর্তনাদ করছে, তাঁদের কথা কানে পৌঁছচ্ছে না কেন? আপনার সরকার ও প্রশাসন যোগ্য ও দক্ষ বাঙালি অফিসার থাকা সত্ত্বেও তাঁদের উপেক্ষা করে। বাইরের লোকেদের খোঁজে, যারা শুধুমাত্র আপনাদের কথায় উঠবে বসবে, তখন কোথায় যায় বাঙালি অস্মিতা? কেন অত্রি ভট্টাচার্য এবং সুব্রত গুপ্ত উপেক্ষিত হলেন এবং মনোজ পন্থকে মুখ্যসচিব করা হল? তিনি আবার এই দুই যোগ্য বাঙালি অফিসারের তুলনায় জুনিয়র। কেন পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে সিনিয়র আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে উপেক্ষা করা হয়েছে? কেন ভিনরাজ্য থেকে আসা তাঁর জুনিয়র রাজীব কুমারকে ডিজিপি পদে বসানো হয়েছে?”

বাংলায় বাদ যাবে ৯০ লক্ষ ভোটার

বিজেপি বিধায়ক সরাসরি দাবি করেছেন, “মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিনে গেছেন। ভোট ছাড়া তাঁর কাছে আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ নয়। বাঙালি অস্মিতার মোড়কে আসলে পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা চলছে।” শুভেন্দুর দাবি, শেষ জনগণনায় দেখা যাচ্ছে জাতীয় গড়ের থেকে পশ্চিমবঙ্গের গ্রোথ ১০ শতাংশ বাড়ানো। আর ভোটার তালিকায় ১৬ থেকে ২৫। সাংবাদিক বৈঠকে একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, “জাতীয় গ্রোথ যেখানে ৭ শতাংশ, সেখানে ৯টি বাংলাদেশ বর্ডার জেলায় গড় বৃদ্ধি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। ২০১৪ থেকে ২০২৪ মমতার আমলে মেখলিগঞ্জে ২৪.৭৭ শতাংশ বৃদ্ধি। মাথাভাঙায় ২১.৭৯। কোচবিহার উত্তর ১৯.৫৯, কোচবিহার দক্ষিণ ১৯.৭৯, শীতলকুচি ২৪.৬২, দিনহাটা ২৫.৯৩, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জ. কুমারগ্রামে ২১.১০।” এরপরই আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাতে বাংলা যেতে দেওয়া হবে না। কোনও ভারতীয় হিন্দু-মুসলিম-শিখ-খ্রিস্টান, জৈন, পারসি, বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। সব ধর্মের লোক থাকবে। কিন্তু কোনও রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে না।”

বিএসএফ-এর দায় নেই

মমতা যখন অনুপ্রবেশ নিয়ে বিএসএফ-এর দিকে দায় ঠেলছেন সেই সময় শুভেন্দু কিন্তু অন্য চাল দিয়েছেন। এদিন তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অনুপ্রবেশ বিএসএফ-এর দায়িত্ব। আমি বলছি, আপনি কেন্দ্রকে ৫৪০ কিলোমিটার জায়গা দেননি কেন? ২০১৬ সাল থেকে বারংবার ভারত সরকার স্বরাষ্ট্র দফতর এবং অনুরোধ করা সত্ত্বেও। আপনি বিএসএফ-কে সম্পূর্ণ জমি দিয়ে, তাতে কাঁটাতার লাগানোর সময় দিয়ে, তারপর বিএসএফ-র দিকে আঙুল তুলুন। আমরাও না হয় তখন সমর্থন করব।’

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share