Suvendu Adhikari: বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী, সিএএ-তে তাদের স্থান নেই, সাফ জানালেন শুভেন্দু

Suvendu adhikari remarks Bangladeshi minorities have no place in CAA they are infiltrators

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি (Bangladeshi) মুসলিমদের সিএএ-তে কোনও স্থান নেই, তাঁরা ‘অনুপ্রবেশকারী’ – বিধানসভা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে ফের একবার এমনটাই স্পষ্ট করে জানালেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, সিএএ-র আওতায় কারা পড়েন এবং কারা পড়েন না, তা কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে আসা অমুসলিম শরণার্থীরাই এই আইনের অন্তর্ভুক্ত।

কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) ভাষায়, “হিন্দু, শিখ, খ্রীষ্টান, জৈন, বুদ্ধিস্ট সকলেরই স্থান রয়েছে। তবে বাংলাদেশি মুসলিম নয়, পরিষ্কার করে বলা হয়েছে। তাঁরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকবে। আর সব হিন্দু, যাঁরা বাংলাদেশ থেকে এসেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ , তাঁরা সবাই শরণার্থী, তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। হিন্দুরা আসবে, নিরাপদে থাকবে।”

এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়

এই আইনের আওতায় হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা ভারতের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, তাঁদের ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে প্রবেশ করা আবশ্যক ছিল। তবে এবার নাগরিকত্বের আবেদন জানানো যাবে আরও ১০ বছর পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২৫-এর মধ্যে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁরাও এই আইনের সুযোগ নিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এনিয়ে জানিয়েছে, এই আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, বরং নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রণীত। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া অমুসলিম শরণার্থীদের জন্য একটি মানবিক পদক্ষেপ।ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করার সিদ্ধান্তে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,”সেকুলারিজম (ধর্মনিরপেক্ষতা), প্লুরালিজম (বহুত্ববাদ), এবং কমিউনিজম (সমাজতন্ত্র) — এই মূল্যবোধগুলো বজায় থাকবে ততক্ষণই, যতক্ষণ ভারত একটি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে টিকে থাকবে।”

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share