মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (Waqf Act) প্রতিবাদে এবার সারা দেশে বিক্ষোভে নামছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এমন ঘোষণা করা হয়েছে এই সংগঠনের তরফ থেকে। এখানেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দেশের সংসদে যে আইন পাশ হল ওয়াকফ সম্পত্তিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে, সেটাই নাকি সংবিধান বিরোধী মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কাছে (AIMPLB)। শুধু তাই নয় মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের আরও দাবি, মোদি সরকারের পাশ করা এই আইন নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে সরাসরি হুমকি। একইসঙ্গে এর মাধ্যমে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকারও খর্ব হচ্ছে বলেও দাবি তাদের।
৭ জুলাই দেশজুড়ে আন্দোলনে নামছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড (Waqf Act)
আন্দোলনের দিনক্ষণও স্থির করেছে তারা (Waqf Act)। সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আগামী ৭ জুলাই দেশজুড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এই বোর্ডের একজন সদস্য মৌলানা গয়াস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন একথা। প্রসঙ্গত, ওয়াকফ সংশোধন আইন পাশের আগে দেশের দশটি বড় শহরে আলোচনায় মতামত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় ৯৭ লাখ ব্যক্তির মতামত নেওয়া হয়, এর পরিপ্রেক্ষিতেই তৈরি হয় ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Act)। যেখানে দরিদ্র মুসলিমদের সম্পত্তি বাঁচানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করতে দেখা যায় মোদি সরকারকে।
৭০ বছরের পুরনো আইনে বদল
নয়া সংশোধনী আইন পাশ হওয়াতে বদলে গিয়েছে ৭০ বছরের পুরনো আইন। ১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ ওয়াকফ বোর্ড পেতে চলেছে দেশ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়াও ওয়াকফ আইনকে (Waqf Act ) সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, ‘‘এই আইন গরিব মুসলিমদের রক্ষা করবে তাঁদেরই ধনী অংশের হাত থেকে। ন্যায়ের স্বার্থে এই নতুন আইন আমাদের সংবিধানের বুনিয়াদি নীতিগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’’
Leave a Reply