মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা সরকারের পতনের পর ইউনূসের বাংলাদেশ বিবাদে জড়িয়েছে ভারতের (India) সঙ্গে। এই আবহে তাদের সঙ্গে সখ্যতা বেড়েছে পাকিস্তানের। সদ্য পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সেই চুক্তি অনুযায়ীই বাংলাদেশের ঘরে ঢুকেছে পাকিস্তানি চাল। একাধিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে চুক্তি হলেও সেই চালের দাম খুবই বেশি। তাই ফের হাত পাততেই হল ভারতের কাছে। জানা গিয়েছে, ভারত থেকে ৯টি প্যাকেজে মোট ৪ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এই আবহে ভারত থেকে আমদানির সাড়ে ১১ হাজার টন চাল পৌঁছে গিয়েছে বাংলাদেশে। আরও ৫০ হাজার চাল ভারতের কাছে কিনতে চলেছে বাংলাদেশ।
ভাঁড়ে মা ভবানী বাংলাদেশকে (Bangladesh) খরচ কত করতে হবে?
এদিকে ভারতের কাছ থেকে চাল আমদানি করা নিয়ে সাফাই দিতেও শোনা গিয়েছে ইউনূস সরকারকে। তাদের দাবি, খাদ্যের যোগান বাড়াতেই ভারত সরকারের কাছ থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছ, এই চাল কেনার জন্য ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা হওয়া বাংলাদেশকে খরচ করতে হবে প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের (Bangladesh) অর্থ মন্ত্রকের উপদেষ্টার তরফে এই খবর ইতিমধ্যে সামনে এসেছে।
উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকের পরেই সিদ্ধান্ত
বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভি আগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল কেনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানেই প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে, ৪২৯.৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলারের সমান। প্রসঙ্গত, এর আগেও বাংলাদেশ খাদ্য মন্ত্রকের আবেদনে প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে (Bangladesh) রফতানি করা হয়েছিল। বাংলাদেশ উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির শীর্ষ আধিকারিকরা বৈঠক করেন। সেখানেই ভারত থেকে চাল কেনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ সরকারের তরফে এর আগেও সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া থেকেও চাল কেনা হয়েছিল।
Leave a Reply