মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) চরমে উঠেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজ্যে সম্প্রতি জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা করতেই বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক পদত্যাগ শুরু করেন কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। ৭১ জন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয় ব্যাপক অসন্তোষ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোপাল, ইন্দোর, উজ্জয়িন, বুরহানপুর—প্রায় সর্বত্র দেখা যায় বিক্ষোভ।
বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে (Madhya Pradesh)
এই তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও নেতাদের কুশপুতুলিকা দাহও করা হয়। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখা যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Congress) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের পুত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী জয়বর্ধন সিংয়ের সমর্থকদের মধ্যে। তাঁরা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ঋতু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর কুশপুতুলিকা দাহ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। অভিযোগ ছিল, ঋতু পাটোয়ারি জয়বর্ধন সিংয়ের মর্যাদায় আঘাত করেছেন।
জেলায় জেলায় বিক্ষোভ (Madhya Pradesh)
ভোপালে জেলা সভাপতি হিসেবে (Madhya Pradesh) প্রবীর সাক্সেনার নাম ঘোষণা করতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মনোজ কেনা প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন এবং দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন। ইন্দোরের নতুন শহর সভাপতি হিসেবে চিন্টু চৌক্সির নাম ঘোষণার পরেও শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। এর ফলে বর্তমান জেলা সভাপতি বিপিন ওয়ানখেরকে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়। উজ্জয়িনেও দেখা দেয় অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সেখানে মহেশ পারমারের নাম জেলা সভাপতি হিসেবে ঘোষণার পর, অন্যান্য গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে বিক্ষোভে নামে। উজ্জয়িনীর জেলার মুখপাত্র ও রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েত সেলের সভাপতি হেমন্ত পাতিল এরপর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন
কংগ্রেস যে জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে (Madhya Pradesh), সেখানে দেখা যাচ্ছে ২১ জনকে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন তালিকায় মোট ৩৭ জনকে সংরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন সাধারণ শ্রেণির প্রতিনিধি, ১২ জন ওবিসি, ১০ জন এসটি, ৮ জন এসসি, ৪ জন মহিলা এবং ৩ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। এছাড়া জেলা সভাপতি হিসেবে নিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন বর্তমান বিধায়ক, ৮ জন প্রাক্তন বিধায়ক এবং ৩ জন প্রাক্তন মন্ত্রী। এইসব সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মতে, তৃণমূলের যোগ্য নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে এবং কেবলমাত্র প্রভাবশালী ও পদাধিকারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply