Sukanta Majumder: “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে”, নাগরাকাটাকাণ্ডে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

Sukanta majumder on mp mla attacked in nagrakata case

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় (Nagrakata Case) বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপির এক সাংসদ ও বিধায়ক। তার পর কেটে গিয়েছে আস্ত দুটো দিন। তার পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কাউকেই। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ‘স্নেহচ্ছায়া’য় বেড়ে চলায় পার পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ছে ক্ষোভের আগুন। সেই কারণেই এবার পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। বুধবার বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন সুকান্ত। শিলিগুড়িতে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে পাল্টা মার হবে। এখনও সময় আছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুন।”

সুকান্তর হুঁশিয়ারি (Sukanta Majumder)

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, “খগেন মুর্মু কেবল সাংসদ নন, তিনি বিভিন্ন সাংবিধানিক পদেও থেকেছেন। শঙ্কর ঘোষ আমাদের বিধায়ক। এঁরা ছাড়াও সেদিন যাঁরা যাঁরা গিয়েছিলেন, তাঁরা রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হয়েছেন।” অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলেও অভিযোগ সুকান্তর। বিজেপির প্রাক্তন এই রাজ্য সভাপতি বলেন, “খগেন মুর্মুর মুখের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে থাকতে হবে। কথা বলতে পারবেন না চার সপ্তাহ। যারা ওঁকে আক্রমণ করেছিল, তারা প্রকাশ্যে বলেছে, আমরা দিদির সৈনিক। শঙ্কর ঘোষ নিজে আমায় এ কথা বলেছেন। এখানে বিজেপি কেন আসবে, তা-ই নিয়ে ঝামেলা। আমরা পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, যাদের নাম ও ছবি দেখা গিয়েছে, পুলিশ যদি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বিজেপির মতো করেই ট্রিটমেন্ট করবে।”

দুষ্কৃতীদের পোস্টার টাঙানো হবে

সুকান্ত বলেন, “এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি কেন? আমাদের ট্যাক্সের টাকায় পুলিশের বেতন হবে, আর কেউ গ্রেফতার হবে না! এটা মেনে নেওয়া যায় না। হয় পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, নয়তো পাল্টা মারব আমরা।” তিনি বলেন, “যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের পোস্টার বড় বড় করে টাঙানো হবে জলপাইগুড়ি-শিলিগুড়ির রাস্তায় রাস্তায়। আমাদের ক্ষমতা আছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে। আমরা চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি আটকাতে পারি। পাঁচ হাজার লোক দিয়ে ঘেরাও-ও করতে পারি। কিন্তু আমরা এসব করি না (Nagrakata Case)।” ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের দায় চাপানো হয় বিজেপির ঘাড়ে। এদিন সে প্রসঙ্গেরও অবতারণা করেন সুকান্ত। বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূল আছে নাকি? কংগ্রেস থেকে কয়েকজন টিকিট না পেয়ে তৃণমূল সেজে রয়েছে। আমরা কোথাও দলীয় অফিস ভাঙচুর করি না। এটা আমাদের স্বভাব নয়।” তাঁর প্রশ্ন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গিয়ে কী হবে? ওখানে ওদের তো কেউ নেই।”

নিশানা মমতাকেও

জখম সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন (Sukanta Majumder) তাঁকেও নিশানা করেন সুকান্ত। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে নাটক করছেন, উনি এখানে থাকা সত্ত্বেও এমন হবে কেন? আদিবাসী সমাজের মানুষকে এমন আক্রমণ করা হবে কেন?” সুকান্ত বলেন, “৮জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ক্যামেরায় হামলাকারীদের মুখও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। কী করছে তারা?” মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “এমন পুলিশমন্ত্রী থাকার চেয়ে তাঁকে বন্যার জলে ফেলে দিলে ভালো হয়!” এর পরেই তিনি বলেন, “পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে বিজেপি তাদের মতো করে ট্রিটমেন্ট করবে।”

ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

এদিকে, মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন (Nagrakata Case) খগেন মুর্মুকে দেখতে গিয়েছিলেন (Sukanta Majumder) রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। ডিজিপিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ছাব্বিশে এই রক্তের বদলা হবে সুদ সমেত। উশুল করবে বাংলা। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা হবে। জলপাইগুড়ির এসপি, ডিজিপি রাজীব কুমার দিল্লি যাওয়ার জন্য ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। স্পিকারের কল আসবে।” নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি, খগেন মুর্মুকে দেখতে এলেও, আর এক আহত বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের সঙ্গে দেখা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, খগেন মুর্মুর চোট প্রসঙ্গে মিথ্যেও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দুর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদকে দেখতে এসে মমতা জিজ্ঞেস করেছেন, লাগল কীভাবে? তাঁর প্রশ্ন হওয়া উচিত ছিল, মারল কীভাবে, মারলই বা কারা?” তিনি বলেন, “এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত মর্মান্তিক ও দুঃখজনক (Nagrakata Case)।”

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই (Sukanta Majumder) এই ঘটনায় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যকে অবিলম্বে রিপোর্ট দিতে হবে, তা না হলে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু।

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share