মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (টিএলপি) কর্মীদের (Pakistan TLP) ওপর ব্যাপক দমন-পীড়ন চালাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব পুলিশ। মুরিদকেতে (Islamabad Violence) পাকিস্তানি পুলিশের এই অভিযানে মৃত্যু হয় ১১ জনের, জখম হন ৫০ জনেরও বেশি। জানা গিয়েছে, ইজরায়েল-গাজা সংঘাতের জেরে গাজার সপক্ষে মিছিল করে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন টিএলপির নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। পার্টির প্রধান সাদ হুসাইন রিজভির নেতৃত্বে লাহোর থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। অভিযোগ, মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের রুখতে নিরাপত্তা বাহিনী লাঠিচার্জ করে, ছোড়ে টিয়ার গ্যাসের সেলও। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্সও। এর পরেই বিক্ষোভকারীরা ইসলামাবাদের পথে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে মুরিদকে শিবির করে। জানা গিয়েছে, টিএলপি নেতৃত্ব ‘রণাঙ্গন’ থেকে পিছু হটার কোনও ইঙ্গিত দেয়নি।
গুলিতে হত ১১ (Pakistan TLP)
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর এই অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে পুলিশ যখন প্যালেস্তাইনপন্থীদের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের জন্য রাজধানীর দিকে টিএলপির মিছিল রোধ করার চেষ্টা করছিল, তখন লাহোরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। টিএলপির অভিযোগ, পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। তাতে তাদের ১১ জন কর্মী নিহত হয়, জখম হয় ৫০ জনেরও বেশি (Pakistan TLP)।
কী বললেন টিএলপি নেতা
প্রতিবাদের একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। এক টিএলপি নেতাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আজ সকাল থেকে টিএলপির ১১ জন নিহত হয়েছে। অবিরাম শেলিং ও গুলিবর্ষণ চলছে।” প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর গাজায় ইজরায়েলি বিমান হামলার প্রতিবাদে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, ১১ অক্টোবর তা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। পুলিশ টিয়ার গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করে, লাঠিচার্জ করে। পাল্টা ইট-পাটকেল ছোড়েন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার জুম্মার নমাজের সময় লাহোরে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে টিএলপির প্রধান বলেন, “গ্রেফতার কোনও সমস্যা নয়, গুলি কোনও সমস্যা নয়, শেলও কোনও সমস্যা নয় – শহিদ হওয়া আমাদের নিয়তি (Islamabad Violence)।” পাকিস্তানের মন্ত্রী তালাল চৌধুরী টিএলপির নিন্দে করে বলেন, “গোষ্ঠীটি গাজা সঙ্কটকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য ব্যবহার করছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দেন, সরকার কোনও সংগঠনের (Pakistan TLP) হিংসা বা জবরদস্তি সহ্য করবে না।
Leave a Reply