মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মণিপুরের পরিস্থিতির আগেও অবনতি হয়েছিল। তবে এখন সেখানে শান্তি ফিরে আসছে এবং মানুষ নতুন আশায় উজ্জীবিত। স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। একই রাজ্যের দু’টি সম্প্রদায়ের একে অপরের সঙ্গে সংঘাতে জড়ানোটা উচিত নয়। পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হচ্ছে এবং সমাজ ও সরকার দু’পক্ষই সম্পূর্ণ স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
আরএসএসের অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (Dattatreya Hosabale)
আরএসএসের (RSS) অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল বৈঠকের শেষ দিনে সাংবাদিক সম্মেলনে কথাগুলি বললেন সংগঠনের সহসরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। এই বৈঠকে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের বিজয়া দশমীর ভাষণে উত্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নাগপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। কয়েকটি বিদেশি দেশের প্রতিনিধিদলও এই উদযাপনে অংশ নেয়। দালাই লামাও এই উপলক্ষে সংঘকে শুভেচ্ছা জানান।২০২৫ সালের ২ অক্টোবর ১০০ বছর পূর্ণ করে আরএসএস। হোসাবলে ধর্ম, বাণিজ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সেই সব ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, যাঁরা সংঘকে শতবর্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
কী বললেন হোসাবলে
নাগপুরে আয়োজিত ‘পথ সঞ্চালনে’ মোট ১৪ হাজার ১০১ জন স্বয়ংসেবক অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও একইভাবে এই অনুষ্ঠান হয়। হোসাবলে স্বয়ংসেবকদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান (Dattatreya Hosabale)। হোসাবলে জানান, শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় যে অনুষ্ঠানগুলি হয়েছে, তা সংঘের কাজের বিস্তৃত সম্প্রসারণেরই প্রতিফলন। বর্তমানে দেশে সংঘের মোট ৫৯ হাজার ৩৪৩টি মণ্ডল রয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার ৯৬টি মণ্ডলে অনুষ্ঠান হয়েছে। ৩৭ হাজার ২৫০টি মণ্ডলে ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে।
মহানগর ও নগর এলাকায় মোট ৪০ হাজার ৬৮৬টি বস্তি রয়েছে। তার মধ্যে ৪০ হাজার ২২০টিতেই অনুষ্ঠান হয়েছে। এছাড়াও আরও ৬ হাজার ৭০০টি আলাদা করে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তিনি জানান, লাদাখ থেকে শুরু করে পাহাড়ি, উপকূলবর্তী ও উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল – দেশের সর্বত্রই সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এতে (RSS) অংশগ্রহণ করেছেন। হোসাবলে বলেন, “পথ সঞ্চালনে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগেরই বয়স চল্লিশ বছরের নীচে। এ থেকে প্রমাণ হয়, দিন দিন তরুণ প্রজন্ম আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। এই আয়োজনে কোনও সম্প্রদায়কেই বাদ দেওয়া হয়নি (Dattatreya Hosabale)।”

Leave a Reply