মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের মহীয়সী নারী স্বাধীনতা সংগ্রামী উল্লালের মহারানি আব্বাক্কা ছিলেন একজন দক্ষ প্রশাসক, অপরাজেয় কৌশলবিদ এবং অত্যন্ত বীরত্বপূর্ণ শাসক। তিনি দক্ষিণ কন্নড় জেলার (বর্তমানে উপকূলীয় কর্ণাটক) উল্লাল সামস্থান সফলভাবে শাসন করেছিলেন। বীর রানি আব্বাক্কার ৫০০তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) (RSS)।
পর্তুগিজ হানাদারদের পরাজিত করেছিলেন রানি (RSS)
শাসনকালে আব্বাক্কা পর্তুগিজ হানাদারদের একাধিকবার পরাজিত করেছিলেন। এই পর্তুগিজরা তখন বিশ্বের সবচেয়ে অপরাজেয় সামরিক শক্তিগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হত। কূটনৈতিক দক্ষতা ও কৌশলগত মিত্রতার (উত্তর কেরলের সামুথিরি রাজার সঙ্গে) সাহায্যে তিনি রক্ষা করেছিলেন তাঁর রাজ্যের স্বাধীনতা। , তাঁর কৌশল, বীরত্ব এবং নির্ভীক নেতৃত্ব তাঁকে ইতিহাসের পাতায় “অভয়রানি” বা নির্ভীক রানির সম্মান এনে দিয়েছিল।
মহারানি আব্বাক্কা
মহারানি আব্বাক্কা ছিলেন ধার্মিক। তিনি বহু শিব মন্দির এবং তীর্থস্থান প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করে ভারতের সমন্বয়মূলক ঐতিহ্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। শাসন কালে রানি নিশ্চিত করেছিলেন যাতে সকল ধর্মীয় সম্প্রদায়কে সমান সম্মান দেওয়া হয় এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হয়। এই সম্মান এবং ঐক্যের উত্তরাধিকার কর্নাটকে আজও প্রতিধ্বনিত হয়। রানির অমর কীর্তিগুলি যক্ষগান, লোকগীতি এবং ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে আজও বেঁচে রয়েছে।
তাঁর অদম্য সাহস, জাতি ও ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা এবং কার্যকর শাসনের স্বীকৃতি স্বরূপ, ভারত সরকার ২০০৩ সালে তাঁর স্মরণে তাঁর নামে একটি ডাকটিকিট প্রকাশ করে। এভাবে তাঁর বীরত্বের গল্প জাতির মনে গেঁথে রয়েছে যুগ যুগ ধরে। ২০০৯ সালে রানি আব্বাক্কার নামে একটি পেট্রোল ভেসেলের নামকরণ করা হয়। এটি তাঁর নৌ কমান্ডের উত্তরাধিকারের একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবে কাজ করে (RSS)।
আরএসএসের (RSS) তরফে জারি করা বিবৃতিতে সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসেবল বলেন, “মহারানি আব্বাক্কার জীবন সমগ্র জাতির জন্য একটি গভীর অনুপ্রেরণা স্বরূপ। তাঁর ৫০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আরএসএস এই অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানায়। তাঁর গৌরবময় জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে চলমান জাতি-গঠনের মিশনে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার জন্য সমগ্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানায়।”
Leave a Reply