মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ছিল বেঙ্গালুরুতে আরএসএস-এর (RSS) অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার (ABPS 2025) তৃতীয় দিন। এদিন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তাঁর পাশে উপস্থিত ছিলেন আরএসএসের সর্ব ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। এই বৈঠকে দত্তাত্রেয় হোসাবলে জানান যে রবিবার শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে দেশের জন্য শহিদ হওয়া তিন বীরের উদ্দেশে। এঁরা হলেন ভগৎ সিং, সুখদেব এবং রাজগুরু।
২ অক্টোবর সারাদেশে চলবে একলাখ শাখা
চলতি বছরে ২ অক্টোবর পড়েছে বিজয়া দশমীর তিথি। প্রসঙ্গত, বিজয়া দশমীই হচ্ছে আরএসএস-এর (RSS) প্রতিষ্ঠা তিথি। ওই দিন সারা দেশে এক লাখ শাখা চলবে বলে জানিয়েছেন আরএসএস-র দত্তাত্রেয়। স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশে ওই দিন বার্তা দেবেন সর সংঘচালক মোহন ভাগবত। শতবর্ষের আবহে প্রতিটা মণ্ডল স্তরে সামাজিক সম্মেলন এবং হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি সামাজিক শ্রদ্ধা বৈঠকও অনুষ্ঠিত করবে আরএসএস। সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে সম্মেলনও করবে আরএসএস। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত দেশে শাখা বিস্তারের কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে।
প্রত্যাশিত কর্মী কত ছিলেন? তারমধ্যে কত হাজির হলেন?
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে দত্তাত্রেয় বলেন, ‘‘অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভায় মোট প্রত্যাশিত প্রতিনিধি ছিলেন ১,৪৮২ জন। এঁদের মধ্যে হাজির হয়েছেন ১,৪৪৩ জন। অর্থাৎ মোট উপস্থিত হয়েছেন ৯৩.৭ শতাংশ। প্রতিনিধি সভায় সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বয়ংসেবকরা হাজির হয়েছেন। স্বয়ংসেবরা এসেছেন মণিপুর, জম্মু কাশ্মীর ও কন্যাকুমারী থেকেও। আগত প্রতিনিধিরা সংঘের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।’’
দেশের প্রতি কাজ মন্থন করবে আরএসএস (RSS)
সংঘের শতবর্ষ নিয়ে দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, ‘‘আরএসএস (RSS) কখনও তার রজত জয়ন্তী অথবা স্বর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেনি। আরএসএস সর্বদাই মননিবেশ করেছে তার কাজের প্রতি। কিন্তু চলতি বছরের সংঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে। এই উপলক্ষে আমাদের কাছে একটা সুযোগ রয়েছে যে আমরা মন্থন করব দেশের জন্য আমরা কী কী করতে পারলাম।’’
বিশ্ব কল্যাণের কাজে লেগে রয়েছে আরএসএস
তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রাচীন সময় ধরেই হিন্দু সমাজ সামাজিক ঐক্য মানুষে-মানুষে বন্ধন এবং বিশ্ব কল্যাণের কাজে লেগে রয়েছে। সাধু মহাত্মাদের আশীর্বাদেই হিন্দু সমাজ এগিয়ে চলেছে। দেশের সমৃদ্ধি হয়েছে। ১৯২৫ সালের ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে স্থাপন করেছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। তিনি চেয়েছিলেন যে জাতির জীবন থেকে দুর্বলতা চিহ্নগুলি মুছে যাক। ভারত আবারও পরম বৈভাবশালী রাষ্ট্রে পরিণত হোক।’’
Leave a Reply