মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোদ্দ পুরুষের ভিটেয় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন তাঁরা। রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের (Waqf Amendment Bill) দাবি, ওই ৪০০ একর জমি ওয়াকফ সম্পত্তি। তার পরেই গত ১৭৪ দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে (BJP) কেরলের মুন্নামবাম গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার। এদের সিংহভাগই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। ৩০ মার্চ সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। তারপর শনিবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে যান বিজেপি নেতারা। সেই সময় গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
বিজেপি নেতার বক্তব্য
মুন্নামবাম পরিদর্শন শেষে বিজেপির কেরল রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর স্থানীয় বাসিন্দাদের বলেন, “এটি রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদকে সংশোধনী বিল পাশ করতে শক্তি জুগিয়েছে। জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আমরা আপনাদের পাশে থাকব। এই বিলের মাধ্যমে আপনাদের জমির রাজস্ব অধিকার ফিরে পাওয়ার ক্ষমতা আছে। মুন্নামবামের মানুষ তাঁদের নির্বাচিত সাংসদ ও বিধায়কদের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কণ্ঠ সংসদে পৌঁছেছে এবং এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের একটি উজ্জ্বল মুহূর্ত।”
কেউ কথা রাখেনি!
এদিন যে ৫০ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তাঁরা সবাই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে সিপিএমের ঝান্ডা বয়েছেন। ওয়াকফ বিল পাশের পর এখন তাঁরাই হাতে তুলে নিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। বিজেপির তরফে স্থানীয়দের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যে, একমাত্র পদ্ম-পার্টিই তাঁদের লক্ষ্যের সঙ্গে একমত। অথচ, সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস উভয়ই মুসলিম ভোটব্যাংকের (Waqf Amendment Bill) স্বার্থের জন্য লড়াই করছে। প্রসঙ্গত, এলডিএফ এবং ইউডিএফের দাবি, তারা মুন্নামবামের মানুষের পাশে রয়েছে। তবুও উভয় ফ্রন্টের সাংসদরা বিলের সংশোধনীর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
মুন্নামবামের আন্দোলন যখন শুরু হয়, তখন আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ায়নি সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস। প্রথম থেকেই তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতারা। ওয়াকফ বিল পাশের পরে এটাকেই হাতিয়ার করতে ওই গ্রামে যাতায়াত করতে শুরু করেন ওই দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা। এদিন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়ে তারই জবাব দিলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের ৫০ জন (Waqf Amendment Bill)।
Leave a Reply