তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
স্বাদ তেতো হলেও শরীরের জন্য খুবই উপকারি। তাই দুপুরের খাবারের শুরু হোক করলা (Bitter Gourd) দিয়েই। এমনটাই জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তরুণ প্রজন্মের একাংশ, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা কিংবা ডায়াবেটিসের মতো নানান জটিল রোগে (Lifestyle Diseases) ভুগছেন। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক জটিল রোগের ঝুঁকি কমাবে এই সব্জি! নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে করলা খেলে একাধিক উপকার পাওয়া যায়।
কোন কোন রোগ করলা মোকাবিলা করতে পারে?
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়!
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, কম বয়সিদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম কারণ শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া। তাঁরা জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার জেরে এই ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। করলা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত করলা (Bitter Gourd) খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে!
দেশ জুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস। স্কুল পড়ুয়া থেকে প্রৌঢ়, সব বয়সীদের মধ্যেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ দেখা দিচ্ছে। ডায়াবেটিস শরীরে একাধিক রোগের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দীর্ঘ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকা জরুরি। আর এই কাজে সাহায্য করে করলার মতো সব্জি। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত করলা খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, করলা (Korola Karela) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি। আবার যারা প্রি-ডায়াবেটিক, অর্থাৎ, যাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার বাড়তি ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের নিয়মিত করলা খেলে বিপদ কমবে।
লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে!
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়লায় থাকে ডিটক্সিফাইং উপাদান। এই জেরে নিয়মিত করলা (Bitter Gourd) খেলে লিভারের নানান অসুখের ঝুঁকি কমে। লিভার সুস্থ থাকে। হজম শক্তিও বাড়ে। এর পাশপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও কমে।
রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়!
কয়লায় ভিটামিন সি থাকে। তাই পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত করলা খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। যেকোনও সংক্রামক রোগের ঝুঁকি কমে। আবার সর্দি-কাশির ভোগান্তিও কমবে।
কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকিও কমায়!
কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগের প্রকোপ বাড়ছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অসময়ে খাওয়ার অভ্যাস, ঠিকমতো বিশ্রাম না নেওয়া, পর্যাপ্ত জল না খাওয়া, বারবার হজমের সমস্যা ও নানান অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের (Lifestyle Diseases) অভ্যাসের জেরেই কিডনিতে পাথর জমার মতো রোগ দেখা দিচ্ছে। আর কিডনিতে একবার পাথর জমলে, বারবার পাথর তৈরির ঝুঁকিও থাকে। নিয়মিত করলা খেলে এই ঝুঁকি কমে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কয়লায় থাকা নানান উপাদান কিডনিতে বারবার পাথর তৈরি হতে বাধা দেয়। কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত ভাতের আগে করলা (Bitter Gourd) খাওয়া যায়। করলার তরকারি বা অন্য পদ তৈরি করে নিয়মিত খেলে শরীরের উপকার হয়। করলা সব বয়সের মানুষের জন্য সমান উপকারি।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Leave a Reply